সারা বাংলা

পাবনায় সম্রাট হত্যা : নেপথ্যে টাকা নাকি পরকীয়া? 

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিকিমত কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের গাড়িচালক সম্রাট হোসেনের হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

শনিবার (২৫ মার্চ) দিাবগত রাতে নিহতের বাবা আবু বক্কার বাদি হয়ে ঈশ্বরদী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় সম্রাটের বন্ধু আব্দুল মমিন এবং তার স্ত্রী সীমা খাতুনকে নামীয় আসামিসহ অজ্ঞাত আরো ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

অরবিন্দ সরকার জানান, এর আগে শুক্রবার (২৪ মার্চ) রাতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে সম্রাটের বন্ধুর স্ত্রী সীমা খাতুনকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর তিনি পুলিশের কাছে হত্যার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তথ্যের সত্যতা যাচাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি মমিনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সীমা খাতুনের রিমান্ড চেয়ে তাকে সোমবার আদালতে তোলা হবে। 

তবে, আবু বক্কারের দাবি, সম্রাটের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতে মমিন ও তার স্ত্রী সীমা তাকে হত্যা করেছে। আরও মানুষ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে।

লাশ উদ্ধারের পর প্রাডো জিপ গাড়ির মালিক আনিসুর রহমান বলেন, ‘সীমা খাতুন পুলিশকে জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে সম্রাট তাদের বাসায় যায়। মাথা ধরেছে বলে বিছানায় শুয়ে পড়ে। এরপর মমিন ওষুধ আনতে গেলে সম্রাট সীমার শরীরে হাত দেয়। তখন সীমা রাগে ও ক্ষোভে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় ও গোপনাঙ্গে আঘাত করলে সম্রাট মারা যায়।’

সম্রাট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আরডিবি নামে একটি যানবাহন সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের চালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে কর্মরত রাশিয়ান নিকিমত কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউরি ফেদারোপের ব্যবহৃত গাড়ি চালাতেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেন অরবিন্দ সরকার।

এদিকে এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে প্রধান আসামি আব্দুল মমিন। ফলে এ ঘটনার পেছনে ‘টাকা নাকি পরকীয়া’ এ প্রশ্নের জবাব মেলেনি। 

উল্লেখ্য নিখোঁজের দুদিন পর গত শনিবার সকালে পাবনা-কুষ্টিয়ার সীমান্তবর্তী শিলাইদহ ঘাট এলাকা থেকে সম্রাটের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা হয় নিকিতম কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার ব্যবহৃত একটি প্রাডো জিপ। রূপপুর প্রকল্পে কাজ করতে গিয়ে সম্রাটের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় একই উপজেলার বাঁশেরবাদা গ্রামের আব্দুল মমিনের।