সারা বাংলা

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা হত্যা মামলায় আরও ৫ আসামি গ্রেপ্তার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খাইরুল আলম জেমকে কুপিয়ে হত্যা মামলার আরও পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ। 

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সোমবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হাতুড়িও উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়াও আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহীর একটি উপজেলা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ আসামি হলো- জেলা শহরের হুজরাপুর কাজীপাড়া মহল্লার মৃত এঁচানের ছেলে মিলন ওরফে বেলাল ইসলাম (৩৫), একই এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে সাজু ইসলাম (২৮), হুজরাপুর রেলবাজার মহল্লার মৃত বিশুলাল চৌধুরীর ছেলে নিতাই চৌধুরী (৪৫), সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের বেহলা গ্রামের মাজাহারুল ইসলামের ছেলে রানা ওরফে ছোট রানা (৩০) এবং জেলা শহরের বড় ইন্দারা মোড় এলাকার মৃত আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে  নূর আলম ওরফে আলম (৩২)।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ বলেন, খাইরুল আলম জেম হত্যার পর থেকে এজাহারভুক্ত আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে তথ্য-প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার দিবাগত রাতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাকি আসামিদেরকেও গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ।

গত রোববার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেসবাউল হক টুটুলসহ পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এনিয়ে এই হত্যা মামলায় মোট ১৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, বুধবার (১৯ এপ্রিল) চাঁপাইনবাবগঞ্জের উদয়নমোড় এলাকায় ইফতারির বাজার করার সময় দুর্বৃত্তরা খায়রুল আলম জেমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হত্যাকাণ্ডের তিন দিন পর খাইরুল আলম জেমের বড় ভাই মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মেয়র, দুই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৪৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।