সারা বাংলা

কক্সবাজারে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত, মানছেন না পর্যটকরা

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। শুক্রবার (১২ মে) বিকেলে ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে।

মোখার কারণে কক্সবাজারে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। কিন্তু তা উপেক্ষা করে পর্যটকরা সমুদ্রে নামছেন।

সরেজমিনে সৈকত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, হাজারো পর্যটক সমুদ্রস্নানে মগ্ন রয়েছেন। সৈকতে সতর্কতামূলক লাল পতাকা টাঙানো হলেও সেদিকে খেয়াল নেই কারো।

সাজিবুল বশার নামের এক পর্যটক বলেন, ‘কক্সবাজারে বেড়াতে আসার পরপরই ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি শুরু হয়ে গেল। সমুদ্রে পা না ভিজিয়ে চলে যাবো বলেন? দুয়েক দিন থাকার পরিকল্পনা থাকলেও আজ রাতেই চলে যাবো।’

ইয়াকুব নামের একজন বলেন, ‘অনেক টাকা খরচ করে ঢাকা থেকে এসেছি। সতর্ক সংকেত জেনেও হাঁটু সমান পানিতে নেমে গা ভেজাচ্ছি। এখনি উঠে যাবো।’ 

সাদিক শরীফ বলেন, ‘আজ কক্সবাজার ত্যাগ করব। তাই শেষ দিনে সমুদ্রে গোসল করতে নেমেছিলাম। কিন্তু লাইফগার্ড কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ গোসল করতে দিল না। বৈরী আবহাওয়ার কারণে আর আনন্দ করা গেল না।’

লাইফগার্ড কর্মী আব্দুস সালাম বলেন, ‘কক্সবাজারে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত থাকায় আমরা কোনও পর্যটককে সমুদ্রে নামতে দিচ্ছি না। তারপরও কিছু পর্যটক নির্দেশনা না মেনে গোসল করতে নামছেন, ট্যুরিস্ট পুলিশ তাদের তুলে দিচ্ছে।’

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ জোনের সহকারী পুলিশ সুপার শেহরিন আলম বলেন, ‘৪ নম্বর সতর্ক সংকেত ঘোষণার পর থেকে ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক সজাগ রয়েছে এবং মাইকিং করে পর্যটকদের সচেতন করছে। পর্যটকদের পানিতে না নেমে সৈকতে নিরাপদে আনন্দ করার জন্য বলা হচ্ছে। এছাড়া, আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। আমরা ঘূর্ণিঝড় মোখার ব্যাপারে পর্যটকদের সচেতন করছি।’

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে কক্সবাজারে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এর প্রভাবে আজ এবং আগামীকাল হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সঙ্গে ধমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।’