সারা বাংলা

বসিক নির্বাচন: আ.লীগের নির্বাচনী টিমের বর্ধিত সভায় প্রার্থীই অনুপস্থিত

বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনী টিমের বিশেষ বর্ধিত সভায় অনুপস্থিত ছিলেন প্রার্থী নিজেই। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব আরও চরম আকার ধারণ করছে বলে ধারণা নগরবাসীর।

শুক্রবার (২৬ মে) বিকেলে গৌরনদী উপজেলায় বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা হয়। 

গত ২১ মে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লাব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ২৬ মে গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা গঠিত বরিশাল সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী পরিচালনা টিমের সভা হবে। সভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত উপস্থিত থাকবেন। 

আজ প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত নিজেই বর্ধিত সভায় যাননি। বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের অন্যান্য সদস্য সভায় উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। 

শুক্রবার বিকেল ৪টায় শুরু হওয়া সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সিনিয়র সদস্য ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ এমপি। তিনি সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে যেকোন মূল্যে নৌকার প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাতকে জয়ী করব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকার বিকল্প নেই। 

গৌরনদী পৌরসভা মাঠে বিশেষ বর্ধিত সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—দলের প্রসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক, সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ, রুবিনা মিরা, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন। 

যার জন্য আওয়ামী লীগের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির এ সভা, তিনি উপস্থিত না থাকায় বরিশাল আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ঐক্যের ঘাটতি দৃশ্যমান হয়েছে বলে মনে করছেন নগরবাসী। 

আজকের এ সভার দিকে নজর ছিল বরিশাল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। প্রার্থী খোকন সেরনিয়াবাত ওই সভায় উপস্থিত না থাকায় বরিশাল সিটি নির্বাচন ঘিরে এখানে আওয়ামী লীগে বিরাজমান দ্বন্দ্ব আরও ঘনীভূত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ঘোষণার দিন থেকেই এখন পর্যন্ত স্থানীয় পর্যায়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি দুই ভাগে বিভক্ত। আজকের ঘটনা বিভক্তি আরও প্রকট করলো বলে মনে করছে সচেতন মহল।

আওয়ামী লীগের প্রার্থীর স্থানীয় পর্যায়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য বরিশাল আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট লস্কর নূরুল হক বলেছেন, বর্ধিত সভায় প্রার্থীর না যাওয়ার বিষয়টি একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তিনি আজ সারাদিন পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বরিশাল সিটি এলাকাতেই নির্বাচনী প্রচার করছেন। তিনি কর্মসূচি অনুযায়ী সকালে প্রতীক বুঝে নিতে যান রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে। বিকাল ৪টায় নগীরর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে বিশেষ সভা করেন এবং সন্ধ্যা ৭টায় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উঠোন বৈঠক করেন।