সারা বাংলা

হাঁসফাঁস গরমে কদর বেড়েছে তালশাঁসের

সারা দেশের মতো গাইবান্ধায়ও তাপপ্রবাহ বইছে। কয়েকদিন ধরে প্রখর রোদ আর ভ্যাপসা গরমে স্থবির জনজীবন। এই তীব্র গরমে কদর বেড়েছে তালশাঁসের। অসহনীয় গরমে অস্থির পথচারীদের এক মুহূর্তের জন্য হলেও তৃষ্ণায় স্বস্তি এনে দিচ্ছে কচি তালের শাঁস। 

বুধবার (৩১ মে) গাইবান্ধা শহরের নতুন বাজার, পূর্বপাড়া, শিল্পকলা একাডেমি, পুরাতন ব্রিজ, হকার্স মার্কেট, আসাদুজ্জামান স্কুলের সামনেসহ বিভিন্ন মোড়ে ভ্যানগাড়িতে করে তালের শাঁস বিক্রি করতে দেখা গেছে। সেই সঙ্গে দেখা গেছে ক্রেতাদের চাহিদা। 

তালের চোখকে বিভিন্ন নামে ডাকা হয়। এ জেলার কেউ তালের চোখ, তালশাঁস, আবার কেউ বলে তালকুর। সাধারণত বৈশাখের মাঝামাঝি থেকে জৈষ্ঠ্যের শেষ পর্যন্ত এই তালের শাঁস পাওয়া যায়। বিক্রেতারা বিভিন্ন এলাকা থেকে কেনার পাশাপাশি পাশের জেলা থেকেও নিয়ে আসে। 

এ ফলটি খেতে যেমন সুস্বাধু, তেমনি এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। এ জন্য সকলের কাছে গরমে তালের শাঁস বেশ প্রিয়। তালের শাঁস খেলে বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি মিলবে। সেই সঙ্গে বাড়বে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। শুধু গ্রীষ্মকালে বাজারে কচি তাল দেখতে পাওয়া যায়। এর নরম কচি চোখ খেতে ছোট-বড় সবাই পছন্দ করে। এতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানিও থাকে।

গাইবান্ধা শহরের ডেভিড কোংপাড়ার শেখ হাবিবুর রহমান নামে এক ভোক্তা বলেন, বাজারের অন্য সব ফলে ফরমালিন বা কেমিকেল থাকলেও তালের শাঁসে থাকে না। এতে শরীরের ক্লান্তিও দূর হয়। তাই এই গরমে তালের শাঁস মেয়েকে খাওয়াচ্ছেন বলে জানান তিনি।

তালশাঁস বিক্রেতা আব্দুর রহিম মিয়া বলেন, তাল যখন কাঁচা থাকে, তখন বাজারে এটা পানি তাল বা তালের শাঁস হিসেবে বিক্রি হয়। প্রতিটি কাঁচা তাল ১০ থেকে ২০ টাকা ও তালের শাঁস প্রতিটি ৫ টাকা পিস বিক্রি হয়। প্রতিটি তালের ভেতর দুই থেকে তিনটি শাঁস থাকে। পাইকারি দামে কিনে এভাবে তালের শাঁস বিক্রি করেই সংসার চালান তিনি।

সদর হাসপাতাল রোডে তালের শাঁস বিক্রেতা সাজু মিয়া জানান, ভ্যানে করে বিভিন্ন বাজারে তালের শাঁস বিক্রি করেন। প্রতিদিন ৭০০-৮০০ টাকা লাভ হয় তার। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রিও বাড়ছে তার।