সারা বাংলা

তালাবদ্ধ ঘরে পেট্রল-আগুনে দগ্ধ কাদের মারা গেছে

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় তালাবদ্ধ ঘরে পেট্রল নিক্ষেপ এবং আগুন দেওয়ায় দগ্ধ আব্দুল কাদের (৩০) চার দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকাল ১০টার দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনি মারা গেছেন। তার স্ত্রী শারমিন (২৫) ও কন্যা ফাতেমা খাতুন (০৪) চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গত ২৭ মে দিবাগত রাতে আব্দুল কাদেরে ঘরে বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে জানালা দিয়ে পেট্রল ছুড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে আব্দুল কাদের, তার স্ত্রী শারমিন ও শিশু কন্যা দগ্ধ হয়। তাদের ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা ঘরের তালা ভেঙে উদ্ধার করে। পরে তাদের অবস্থার অবনতি হলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। 

এ ঘটনায় অভিযুক্ত সবুজ হোসেন (৩২) যশোর জেলার নারায়ণপুর পোড়াবাড়ী গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে। সবুজ হোসেন আব্দুল কাদেরের ভগ্নিপতি। 

২৮ মে আব্দুল কাদেরে বোন সুফিয়া খাতুন বাদী হয়ে দুই জনকে আসামি করে কলারোয়া থানায় মামলা করেন। মামলার ২নং আসামি সোহাগ হোসেনকে ওই দিন গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রধান আসামি সবুজ হোসেন।

মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, আব্দুল কাদেরের বোন সুফিয়া খাতুনের (২৬) সঙ্গে স্বামী সবুজ হোসেনের (৩২) বিরোধ চলে আসছে। এর কারণ হিসেবে শ্যালক কাদেরের উপর ক্ষিপ্ত হয় সবুজ। এর জের ধরে শনিবার রাতে সবুজ চন্দনপুর (কাতপুর) গ্রামের হান্নান বিহারীর ছেলে সোহাগ হোসেনের বাড়িতে অবস্থান করে। ওই রাতে সোহাগের সহযোগিতায় নিজ ঘরে ঘুমিয়ে থাকা আব্দুল কাদেরের ওপর পেট্রল নিক্ষেপ করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। 

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান আব্দুল কাদেরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ইতোমধ্যে এ মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।