বগুড়ায় একটি বাড়িতে ককটেল সদৃশ্য যে বস্তুটি বিস্ফোরিত হয়েছিল সেটি শক্তিশালী হাতবোমা ছিলো বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (২ জুন) বিকেলে ডিএমপি’র বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের একটি টিম বগুড়ায় এসে ঘটনাস্থল থেকে আরো একটি হাতবোমা ডিসপোজ করার পর বিষয়টি সাংবাদিকদের জানানো হয়।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে ইন্সপেক্টর রাইসুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিএমপি’র বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের ৫ সদস্যের একটি টিম বগুড়া শহরের সুত্রাপুর এলাকার পৌর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ওই বাড়িতে এসে পৌছায়। পরে তারা বাড়িটি ভালো করে নিরীক্ষা করেন। এরপর সিলিংয়ের উপরে থাকা বোমা সদৃশ্য বস্তুটি ডিসপোজ করেন তারা।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পরিত্যক্ত বাড়িতে ককটেলসদৃশ বস্তুর বিস্ফোরণ
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাড়িটির মালিক সাবেক জামায়াত নেতা মৃত দুলাল হোসেন। গত ৮ বছর আগে তিনি মারা যান। পরে তার মেয়ে সেলিনা আক্তার শিউলি মায়ের কাছ থেকে বাড়িটি কিনে নেন। শিউলি তার মাকে নিয়ে সেখানেই বসবাস করছিলেন। সম্প্রতি এই বাড়িটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন তিনি। আজ (শুক্রবার) সকালে শ্রমিকরা বাড়িটিতে কাজ করছিলেন। সকাল সোয়া ৯টার দিকে বাড়ির চালের টিন খোলার সময় সিলিংয়ে কয়েকটি বোমা সদৃশ্য বস্তু দেখতে পান এক শ্রমিক। সেগুলো নাড়াচাড়া করার সময় একটি বিস্ফোরিত হলে বাছেদের হাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার বলেন, আপনারা জানেন সকালে একটি বোমা সদৃশ্য বস্তুর বিস্ফোরণ ঘটেছিলো। পরে আমরা ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেই। তারা বগুড়ায় পৌঁছে ঘটনাস্থল নিরীক্ষা করে। তারা দেখতে পায় দুটি বস্তু রয়েছে। তার মধ্যে একটি আসলে বোমা ছিলো। এটি শক্তিশালী একটি হাতবোমা ছিলো।
তিনি আরও বলেন, সকালে যেটি বিস্ফোরণ ঘটেছে সেটি থেকে পাথর জাতীয় কিছু স্প্লিন্টার পাওয়া গেছে। বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট বাসাটি ভালোভাবে দেখে আমাদের জানিয়েছে এরকম বোমা জাতীয় বা বিস্ফোরক জাতীয় কিছু আর নেই। বাসাটি এখন পুরোপুরি নিরাপদ রয়েছে।
স্নিগ্ধ আখতার বলেন, বোমার অবস্থা দেখে মনে হয়েছে এটা অনেক পুরাতন।কারণ সেগুলোতে ময়লা এবং মাকড়শার ঝুল ছিলো। আর আমরা খবর পেয়েছি যে এই বাসাটির যিনি মালিক ছিলেন তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমরা তথ্যটি যাচাই বাছাই করছি। আমরা অনুসন্ধান চালাবো। অবশ্যই আমাদের এটার উৎস জানা উচিত। বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করবো।