সারা বাংলা

হাতির তাণ্ডবে দিশেহারা পাহাড়বাসী

শেরপুরের নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতি, শ্রীবরদী এলাকার পাহাড়ি জনপদে বন্য হাতির তাণ্ডব যেন থামছেই না।  হাতির পাল আগে সন্ধ্যার দিকে লোকালয়ে নেমে এসে কৃষকদের ফসলের মাঠ ও বাড়িঘরে হামলা চালাতো। কিন্তু সম্প্রতি এসব বন্য হাতির পাল দিন-রাত সবসময় তাণ্ডব চালাতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৪০/৫০টি বন্য হাতি একসঙ্গে  আক্রমণ করে-মানুষের বাড়িঘরে।  হাতির তাণ্ডবে ফসলের মাঠ ও গাছ পালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।  গত ৩/৪ দিন ধরে হাতির একটি দল অবস্থান করছে নালিতাবাড়ীর বাতকুচি, বুরুঙ্গা কালাপানি, লক্ষী কুড়া গ্রামের পাহাড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হাতির এমন একাধিক দল রয়েছে পাহাড়ে। দুপুরের পরপরই এসব বন্য হাতি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে লোকালয়ে। মৎস খামারের পুকুরে নামতে চেষ্টা করে হাতির দল। মানুষ ও হাতির মধ্যে চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।হাতির অত্যাচারে অতিষ্ঠ পাহাড়ি জনপদের মানুষ। হাতি নেমে আসলে উৎসুক মানুষের ভিড়ও চোখে পড়ার মতো।  এসব হাতি এক নজর দেখতে ভিড় করেন দর্শনার্থীরা। এভাবেই দিনরাত হাতি মানুষের খেলা চলছে পাহাড়ি অঞ্চলে।

গত কয়েক দিনে হাতির অত্যাচারে ঘর ছাড়া হয়েছেন জসিম উদ্দীন, মালেকা খাতুন। মৎসখামার ধ্বংস করেছে হাতির দল উসমান ও জসিম উদ্দীনের। হাতির আক্রমণে ধ্বংস হয়েছে মধুটিলা ইকোপার্কের শিশুপার্ক ও মিনি চিড়িয়াখানা। প্রতি বছর হাতির আক্রমণে মরছে মানুষ। সম্প্রতি হাতি প্রাণ কেড়ে নিয়েছে সমশ্চুড়া গ্রামের বিজয় সাংমার।