সারা বাংলা

ঝালকাঠিতে চার্জার ফ্যানের দোকানে ভিড়

প্রচণ্ড তাপ্রপ্রবাহের মধ্যে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ঝালকাঠির মানুষ। এতে চাহিদা বেড়েছে চার্জার ফ্যান, লাইট, আইপিএস ও পাওয়ার ব্যাংকের। 

এই সুযোগে এসব পণ্যের দামও বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। অনেকেই সাধ্যের মধ্যে পাচ্ছেন না আইপিএস। গ্রাহকদের অভিযোগ ঝালকাঠিতে বিদ্যুৎ বিভাগ প্রতি এক ঘণ্টা পরপর লোডশেডিং দিচ্ছে, আর সুযোগ বুঝে ইলেকট্রনিক্সের দোকানগুলো দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। 

বুধবার ঝালকাঠি শহরের কালি বাড়ি রোডের ইলেকট্রনিক মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, তীব্র গরমে লোডশেডিংয়ের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ চার্জার ফ্যান, আইপিএস ও লাইন কিনতে ভিড় করছেন। ঝালকাঠি বিভিন্ন মার্কেটের তুলনায় ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দোকানে বেশি ভিড় লেগে আছে। 

ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চার্জার ফ্যান, লাইট, মোবাইল চার্জার, আইপিএসসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক সরঞ্জামাদির দাম তিনগুণ বেড়েছে। যাদের আর্থিক কিছুটা অবস্থা ভালো তাঁরা কিনছেন আইপিএস। বেশিরভাগ মানুষই চার্জার ফ্যান কিনছেন। চাহিদা থাকায় দাম বাড়ানোর বিষয়ে দোকানিরা বলছে, আমদানিকারকরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়ায় তারাও বেশি দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। 

চার্জার ফ্যান কিনতে আসা ঝালকাঠি শহরের চাঁদকাঠি এলাকার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গরমে আর থাকা যায় না। বাচ্চারা ঘুমাতে পারে না, পড়ালেখাও করতে পারছে না। অসহনীয় গরম ও বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। আগে চার্জার ফ্যান ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিল, এখন দাম বেড়েছে তিনগুণ। বাধ্য হয়ে একটি চার্জার ফ্যান সাড়ে পাঁচ হাজার টাকায় কিনলাম।’  

ঝালকাঠি কালীবাড়ি রোডের পপুলার ওয়াচ হাউজ মালিক উওম কুমার চন্দ বলেন, ‘বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে আমদানিকারকরা প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। আগে পাঁচ কার্টন মাল চাইলেই দিত। আর এখন পাঁচ কার্টন মাল চাইলে দেয় এক কার্টন। বেশি দাম দিয়েও মাল পাওয়া যায় না। এ কারণে আমাদেরও মাল বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। চার্জার ফ্যান ও লাইট প্রতিটি পণ্যের দাম বেড়েছে।’