সারা বাংলা

ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি, পথচারী নিহত

লক্ষ্মীপুর শহরে একের পর এক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে একটি জুয়েলারি দোকানে হামলা চালিয়ে স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর পালিয়ে যাওয়ার সময় শহরের ইটের পুল এলাকায় দুর্বত্তদের ব্যবহৃত পিকআপভ্যানের চাপায় জবিউল্যাহ মিয়া নামে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া, দুর্বৃত্তদের হামলায় স্বর্ণের দোকানের মালিক অপু কর্মকার ও তার ছেলে অমি কর্মকার আহত হয়েছেন। 

বুধবার (৭ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের কলেজ রোড এলাকার আর কে জুয়েলারিতে এ ঘটনা ঘটে। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বাস ভবনের সামনে কয়েকটি অবিস্ফোরিত ককটেল ফেলে রেখে যায় তারা। নিহতের মরদেহ লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আহত অপু কর্মকারকে ঢাকা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

এ ঘটনায় শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ একটি পিকআপে মুখোশধারী ৭ থেকে ৮ জন দুর্বত্ত একের পর এক কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় আর কে জুয়েলারি দোকানে ঢুকে দোকান মালিককে কুপিয়ে ও তার ছেলেকে মারধর করে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। দোকানের কিছুটা দূরে মোহাম্মদ আলী সড়কে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাইফুল হাসান পলাশের বাস ভবনের সামনে কয়েকটি ককটেল ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া, স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যাওয়ার পথে পথচারীকে চাপা দেয়। দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ার সময় দু’জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় জনতা। 

ঘটনার পর বিচার দাবি করে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।  জেলা বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক  আবুল কালাম আজাদ ও জুয়েলারি মালিক সমিতির সভাপতি হরিহর পাল একই দাবি করে  এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. সোহেল রানা জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।