সারা বাংলা

খুলনায় বিএনপির গোপন মনিটরিং সেল

দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সিটি নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করলে বা ভোট কেন্দ্রে ভোট প্রয়োগ করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলেই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি। এ জন্য নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে গঠন করা হয়েছে গোপন মনিটরিং সেল। 

শুক্রবার (৯ জুন) মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে  বিএনপির মিডিয়া সেল। 

নগর বিএনপির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নেতাকর্মীদের প্রতি নজরদারী রাখার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে ২১ সদস্যের গোপন মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। ভোটের দিন দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি ভোটপ্রদান করলে মনিটরিং সেলে এর দায়িত্বপ্রাপ্তদের প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, বিগত ১৫ বছর ধরে অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপিসহ দেশপ্রেমিক জনগণ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ প্রায় ৫ বছর যাবৎ কারাভোগ করছেন। সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা, নির্যাতন এবং প্রায় ৫০ লক্ষ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে। অনেক নেতার্কর্মীকে গুম করে রাখা হয়েছে। এমতাবস্থায় হাসিনা সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণঅ করেছে। সে ঘোষণার আলোকে খুলনা মহানগর বিএনপি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জন করেছে। তা সত্ত্বেও দলের দায়িত্বশীল পদে থেকে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে দলীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৯ জনকে বিশ্বাসঘাতক, বেঈমান ও মীর জাফর আখ্যায়িত করে আজীবনের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে। 

একই সঙ্গে জাতীয়তাবাদী দলের ডাকে সাড়া দিয়ে খুলনাবাসীকে ভোটদান থেকে বিরত থাকারও আহবান জানিয়েছেন তুহিন।