জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির ইকোনমিক লাইফ ৫০ বছর নির্ধারণ, জ্বালানি তেল বিক্রির প্রচলিত কমিশন ৭.৫০ শতাংশ নির্ধারণ এবং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছেন রংপুরের পেট্রোল পাম্প মালিকরা। দাবিসমূহ পূরণ না হলে আগামী ১ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহণ বন্ধের ঘোষণা দেন নেতারা।
সোমবার (১৭ জুলাই) দুপুরে রংপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রংপুর এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
নেতারা বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য যখন ৬০ টাকা ছিল তখন যে হারে কমিশন দেওয়া হতো এখন তেলের মূল্য দ্বিগুণ হওয়ার পরও প্রায় একই হারে কমিশন দেওয়া হচ্ছে। অথচ তেল ক্রয়ে ডিলার-এজেন্টদের দ্বিগুণ বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। জিনিসপত্রের মূল্যে ঊর্ধ্বগতির ফলে কর্মচারীর বেতন অনেকাংশে বাড়াতে হয়েছে। সব লাইসেন্স ফি প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিসহ ট্যাংকলরির পার্টসের মূল্যও দ্বিগুণ হয়েছে।
এছাড়া, তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির পর থেকে তেল বিক্রয় অর্ধেকে নেমে গেছে। ফলে আয়ও কমে গেছে। কারণ বিক্রয়ের ওপরই কমিশন নির্ভরশীল। অথচ সংশ্লিষ্টরা সবকিছু জেনেও আমাদের সঙ্গে বারবার বৈঠক করে কমিশন বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি ও সুপারিশ পেশ করে শুধু সময় ক্ষেপণ করে চলেছেন। ফলে জ্বালানি ব্যবসায়ীরা আশাহত হয়ে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছেন। দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত এ সমস্যা ও সংকট থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমরা দাবি জানাচ্ছি।
জ্বালানি সংক্রান্ত সব সমস্যার প্রতিকারের স্বার্থে এবং উত্থাপিত দাবিসমূহ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে আগামী ১ আগস্ট থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি ব্যবসায়ীরা তেল উত্তোলন ও পরিবহনে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আজিজুল ইসলাম মিন্টু, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ শহীদ শোভন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।