সারা বাংলা

মা‌য়ের শয়ন কক্ষে পু‌তে রাখা হ‌য়ে‌ছিল মে‌য়ের লাশ

বগুড়ার ধুনটে মর্জিনা খাতুন (৩৪) নামে স্বামী পরিত্যক্তা এক নারীর মা‌টি‌তে পু‌তে রাখা অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২২ জুলাই) বি‌কে‌লে উপজেলার চান্দারপাড়া গ্রামে মায়ের ঘরের মেঝের নিচ থে‌কে লাশটি উদ্ধা‌র করা হয়। ঘটনার সা‌থে জ‌ড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ নিহতের মা রওশনারা বেগমকে (৫৫) আটক করেছে। 

নিহত মর্জিনা খাতুন চান্দারপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের মেয়ে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মর্জিনা খাতুন তার মা রওশনারা খাতুন, ছেলে রাব্বি ইসলাম (২১) ও তার বউ নুপুর খাতুনকে (১৮) নিয়ে চান্দারপাড়া গ্রামে বসবাস করতেন। তাদের অভাব অনটনের সংসার ছিল। জীবিকার তাগিদে পরিবারটি নানা অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ে। সম্প্রতি মর্জিনা খাতুন অসুস্থ হওয়ায় তার পক্ষে অনৈতিক কাজ করা সম্ভব হয় না। এতে পরিবারের উপার্জনের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ নিয়ে প্রায় ৪ মাস ধরে তাদের সংসারে অশান্তির সৃষ্টি হয়। প্রায় ৩ মাস আগে তারা মর্জিনাকে মারধর করে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন মর্জিনা। পরে ক্ষুব্ধ হয়ে গত ৩০ জুন মর্জিনাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন তার মা, ছেলে ও ছেলের বউ। এরপর মর্জিনার লাশ মা রওশনারার ঘরের মেঝেতে পুতে রাখা হয়। 

হত্যাকাণ্ডের পরের দিন ঘরে তালা লাগিয়ে রওশনারা, রাব্বি ও নুপুর বাড়ি ছেড়ে চলে যান। হঠাৎ করে পরিবারের লোকজন চলে যাওয়ায় গ্রামবাসীর মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। তারা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন। প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহ হলে শনিবার সকালে নিহত মর্জিনার মাকে ঢাকা থেকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে রওশনারার দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী মর্জিনার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থে‌কে নিহতের ছেলে রাব্বি ইসলাম ও ছেলের বউ নুপুর খাতুন পলাতক রয়েছে। 

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, নিহত মর্জিনার মা রওশনারাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তাকে সঙ্গে নিয়ে মর্জিনার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।