সারা বাংলা

বাংলাবান্ধা দিয়ে পাথর আমদানি স্বাভাবিক

ভারতের ফুলবাড়ি স্থলবন্দরে ধর্মঘটের কারণে টানা কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর চার দেশিয় স্থলবন্দর বাংলাবান্ধায় পাথর আমদানি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। গতকাল (২২ জুলাই) শনিবার থেকে এ স্থলবন্দরে পাথর ঢুকতে শুরু করে। ওই দিন ৩৮টি পাথরবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করেছে। তবে ভুটান থেকে এখনো পাথর আসেনি। 

এর আগে, গত ৫ জুলাই থেকে এই স্থালবন্দরে বন্ধ হয় পাথর আমদানি। পরে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকদিন পাথর আসলেও গত শুক্রবার পর্যন্ত টানা বন্ধ ছিলো পাথর আমদানি।

রোববার (২৩ জুলাই) সকালে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমাদের পক্ষ থেকে কোনো সমস্যা না থাকলেও ভারতের ফুলবাড়ি বন্দরে সমস্যার কারণে ১৫ দিন পাথর আমদানি বন্ধ ছিল। এ কদিন পাথর আমদানি না হওয়ায় রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার। তবে বন্দর দিয়ে অন্য পণ্য আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক ছিল। 

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ইদ্রিস আলী বলেন, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি পাথর আমদানির ওপর নির্ভরশীল। এ বন্দরে অন্য সব পণ্য আমদানি-রপ্তানির তুলনায় পাথর আমদানিই হয় বেশি। কয়েক দিন পর আবার ভারত থেকে পাথর আসতে শুরু করেছে। কদিন বন্ধ থাকায় আমাদের শ্রমিকদের অলস সময় কাটাতে হয়েছে। কাজ না থাকায় বেশ সমস্যা হয়েছে আমাদের।

বাংলাবান্ধা কাস্টম সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভারতে ধর্মঘটের কারণে টানা কয়েকদিন পাথর আমদানি বন্ধ থাকার পর শনিবার বিকেল থেকে ভারত থেকে পাথর আসা শুরু হয়েছে। তবে ভুটানের পাথর আসেনি।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কুদরত ই খুদা মিলন বলেন, পাথর আসা শুরু হয়েছে। ভারতের ফুলবাড়িতে স্লট বুকিংয়ের নামে রপ্তানিযোগ্য পাথরের ট্রাক থেকে আকার ভেদে অতিরিক্ত টাকা আদায় করার কারণে সেখানকার ট্রাক মালিকরা পাথর পাঠানো বন্ধ রেখেছিলেন। যার কারণে এ কদিন পাথর আমদানি করা সম্ভব হয়নি। পাথর আমদানি করতে না পারায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এখন পাথর আসতে শুরু করেছে। 

প্রসঙ্গত, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের স্লট বুকিংয়ের নামে প্রতি ট্রাকে ৩-৫ হাজার টাকা আদায় করার প্রতিবাদে ধর্মঘট শুরু করে ফুলবাড়ি বর্ডার লোকাল ট্রাক ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি, ভুটানের পাথরবাহী ট্রাক থেকেও টাকা আদায় করতে হবে। ধর্মঘটের কারণে পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছিলো বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর।