ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের অবকাঠামো ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেছে জাতিসংঘের অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিশন (এসকেপ)। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকালে ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে এই বন্দরে আসে। এরপর বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবং ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে তারা বৈঠকে বসেন।
বৈঠকে জাতিসংঘ প্রতিনিধি দলকে নেতৃত্ব দেন এসকেপ-এর দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের প্রধান মিকাকো তানাড়া। বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ন পরিচালক আরিফুর রহমান। বৈঠকে বন্দরের অবকাঠামোগত কিছু দুর্বলতার কথা উঠে এসেছে। তবে সার্বিকভাবে বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সম্মেলন কক্ষে ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠকে উঠে আসে বন্দরের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা।
বৈঠকে অন্যান্যদের মধ্যে জাতিসংঘের ট্রান্সপোর্ট বিভাগের প্রধান আজহার জে ডিউক্রেষ্ট, ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিস (বিআইআইএস) গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবির, আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম, সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোবারক হোসেন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক ফোরকান আহাম্মদ খলিফা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানী-রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতীত সব পণ্য আমদানির সুযোগ চেয়েছি। তাছাড়া এনবিআর চেয়ারম্যান মহোদয় বর্তমানে যে ৭টি পণ্য নিয়ে কাজ করছে সেই পণ্যগুলো আমদানির সুযোগ দিলে বন্দর আবারও চাঙ্গা হবে। এছাড়াও আমরা বন্দরে ওয়্যাার হাউজ, ২টি স্কেল মেশিনসহ যাত্রী টার্মিনাল নির্মাণের দাবি করেছি।
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ বলেন, আজকে একটি মিটিং হয়েছে। বাংলাদেশ কিভাবে আরও লাভবান হতে পারে, এই স্থলবন্দরে কি কি সমস্যা আছে, কি কি বিষয় ওভারকাম করা গেলে এই অঞ্চলে ব্যবসা বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে সেই বিষয়গুলোসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।