বান্দরবানে বন্যায় ও পাহাড় ধসে চিম্বুক-থানচি সড়ক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে পাহাড় কেটে বাইপাস সড়ক তৈরি করা হচ্ছে। অল্প কয়েক দিনের মধ্যে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম নুরুল আমিন উল্লাহ নুরী।
শনিবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে বান্দরবান-রুমা ও থানচি এলাকার সড়ক ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন।
সচিব এ বি এম নুরুল আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, ‘আমরা যত বেশি প্রকৃতির উপরে হাত দেব, তত বেশি ক্ষতি হবে। খেয়াল রাখতে হবে প্রকৃতি যে দিকে নিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেভাবে কাজ করে যেতে হবে। প্রকৃতির বিরুদ্ধচারণ করা ঠিক হবে না। এই ভারী বর্ষণে সড়ক ভাঙার কারণে বিকল্প হিসেবে যেটি বাইপাস সড়ক তৈরি করা হয়েছে, সেটিকেও টিকে রাখতে হবে। তাই চেষ্টা করে যাচ্ছি, যাতে এই সড়ক টেকসই ও মজবুত হয়। তাছাড়া সড়কের বিভিন্ন ভাঙনের জায়গায় স্থায়ীভাবে টিকিয়ে রাখতে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধ করা হবে।’
এ সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশনের (৩৪ ইসিবি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদুর রহমান বলেন, ‘রুমা সড়কে ভাঙা এলাকাগুলো সংস্কার কাজ শুরু করা হয়েছে। চার কিলোমিটার বাকি রয়েছে। আর থানচি সড়কে সেনাবাহিনীর দুটি টিম মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ছোট-বড় যান চলাচলে উপযোগী হবে বলে আশা রাখছি।’
পরিদর্শনকালে সড়ক যোগাযোগ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মঈনুল হাসান, জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন, সড়ক ও জনপদে নির্বাহী প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরীসহ সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলতি মাসের ২-৮ আগস্ট টানা সাত দিন ভারী বর্ষণে জেলার অধিকাংশ এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। পাশাপাশি পাহাড় ধসে বান্দরবান-থানচি সড়কের মিলনছড়ি থেকে চিম্বুক-নীলগিরি-পোড়া বাংলা ও পাতুই পাড়া এলাকাসহ বান্দরবান-রুমা ও থানচি সড়কের বিভিন্ন এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বান্দরবান-রুমা ও থানচি সড়ক যোগাযোগ এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে।