নোয়াখালীর সেনবাগে শ্বশুর বাড়ি থেকে পুলিশ এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, ওই গৃহবধূকে মারধর করে হত্যা করেছেন স্বামী।
গতকাল বুধবার রাতে উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের মমতাজ মিয়ার বাড়ি থেকে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
নিহত তানজিনা আক্তার (২০) বসন্তপুর গ্রামের মমতাজ মিয়ার বাড়ির কাতার প্রবাসী মো. মহিন উদ্দিনের স্ত্রী।
গৃহবধূ তানজিনার মামাতো ভাই আজিম জানায়, দুই বছর আগে পারিবারিকভাবে তানজিনাকে প্রবাসী মহিন উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। কিছুদিন পরই তাদের পরিবারে কলহ দেখা দেয়। স্বামীসহ পরিবারের লোকজন তানজিনাকে প্রতিনিয়ত নির্যাতন করত। গতকাল বিকেল ৩টার দিকে মহিউদ্দিন তার শ্বশুরকে ফোন দিয়ে বলেন, তুই কি তোর মেয়েকে নিবি, না নিলে মেরে ফেলব। এটার কল রের্কডও রয়েছে। আমরা পুলিশকে তা শুনেয়েছি। এরপর তানজিনার স্বামীর পরিবারের সদস্যরা পুনরায় ফোন দিয়ে বলে তানজিনাকে নিয়ে সবাই হাসপাতালে গেছেন। স্বজনেরা হাসপাতাল গিয়ে দেখেন তানজিনা হাসপাতালে নেই। সেখান থেকে শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে পরিবার দেখতে পায় একটি ঘরে তানজিনার মরদেহ রাখা আছে। তার মুখে ও গলায় আঘাতের আলামত রয়েছে। তানজিনাকে তার স্বামী মারধর করে মেরে ফেলেছে।
সেনবাগ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো.রুহুল আমিন বলেন, নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।