সারা বাংলা

তেঁতুলিয়া পাথর শ্রমিকদের ওপর বিজিবি’র লাঠিচার্জের অভিযোগ

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় সীমান্ত নদী মহানন্দায় পাথর উত্তোলনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পাথর শ্রমিকদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে বিজিবি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। এসময় আটক করা হয় চারজনকে। তবে, বিজিবি লাঠিচার্জের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মহানন্দা নদীর ভাদ্রুবাড়ি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। 

আটকরা হলেন- তেঁতুলিয়ার ভাদ্রুবাড়ি এলাকার ট্রাক্টর চালক সোলেমান আলী (৩০), একই এলাকার পাথর ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম (২৪), রণচন্ডী এলাকার ট্রাক্টর চালক অমিত হাসান (২৩) ও পঞ্চগড় সদর উপজেলার তালমা এলাকার ট্রাক্টর চালক শিমুল হাসান (২৮)।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার সীমান্ত নদী মহানন্দায় স্থানীয় শ্রমিকরা পাথর উত্তোলন করতে গেলে তাদের বাধা দেয় বিজিবি। এ সময় বিজিবি সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখে পাথর শ্রমিকরা। পরে বিজিবি পাথর বহনে ব্যবহৃত ট্রাক্টরের চালকসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। 

বিজিবির লাঠিচার্জে অনেক নারী পুরুষ আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন পাথর শ্রমিকরা। আহতদের মধ্যে ১২ জনকে তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ, বিজিবি, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।  

তেঁতুলিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ভাদ্রুবাড়ি এলাকার মালতী রানী অভিযোগ করে বলেন, মহানন্দায় পাথর উত্তোলন করতে গেলে বাধা দেয় বিজিবি। দুপুরে কয়েক গাড়ি বিজিবি এসে আমাদের মারধর শুরু করে। লোকজনকে গুলির ভয় দেখায়। আমার স্বামীকে মারধর করার সময় আমাকেও মারধর করে তারা। 

পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল যুবায়েদ হাসান বলেন, সীমানা অতিক্রম করে একটি চক্র পাথর উত্তোলন করতে গেলে বিজিবি তাদের বাধা দেয়। এ সময় তারা আমাদের ৬/৭ জন্য সদস্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে। এরই ফাঁকে সীমান্ত থেকে ট্রাক্টরগুলো সরিয়ে নেয় তারা। পরে আমাদের সদস্যরা গিয়ে অবরুদ্ধদের উদ্ধার করে। এ সময় ৪ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। লাঠিচার্জের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলেও জানান তিনি।