সারা বাংলা

গ্রাম্য সালিসে মারধর, প্রাণ গেল শিশুর

গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে গ্রাম্য সালিশ চলাকালে প্রতিপক্ষের হামলায় ফাতিমা আক্তার নামের দুই বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় শিশুটির বাবা-মা আহত হয়েছেন। 

বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফজল মোহাম্মদ নাসিম।

এরআগে একইদিন দুপুরে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের হয়দেবপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে । 

নিহত শিশু ফাতিমা উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের হয়দেবপুর গ্রামের আব্দুস সাত্তারের মেয়ে। 

আহতরা হলেন- লিয়াকত আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তার (৪০) ও তাঁর স্ত্রী কুলছুম (২৪)।

আহত আব্দুস সাত্তারের বাবা লিয়াকত আলী বলেন, চাচাতো ভাই লাল মিয়ার সঙ্গে আমার জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এ নিয়ে ১০ বছর আগে আদালতে মামলা হয়েছে। আদালতে মামলা চলমান অবস্থায় তারা জোর করে গ্রাম্য সালিশের ব্যবস্থা করে। সালিশে কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মমিনুল কাদের ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুস সামাদ উপস্থিত ছিলেন। সালিশে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে লাল মিয়ার পরিবার আমাদের ওপর হামলা করে। এসময় তারা আমার ছেলে আব্দুস সাত্তার, ছেলের বউ কুলসুম ও দুই বছরের শিশু ফাতিহাকে মারধর করে।  পরে গুরুতর অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার নাতনি ফাতিমা মারা যায়।

কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মমিনুল কাদের বলেন, দুই পক্ষের লোকজন নিয়ে সালিশে কথাবার্তা হচ্ছিল। এক পর্যায়ে লাল মিয়ার পরিবার লিয়াকত আলীর পরিবারের ওপরে হামলা করে। এতে তিনজন গুরুতর আহত হলে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয়।

শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শারমিন আক্তার বলেন, দুপুর দেড়টার দিকে আব্দুস সাত্তার, কুলসুম ও ফাতিহা আক্তার নামে তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের অন্য হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

ওসি আবুল ফজল বলেন, হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাজীপুরের শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।