রংপুর বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় (মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৪ জন। একই সময়ে বিভাগের গাইবান্ধা জেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিভাগে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ জনে। বর্তমানে বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাসায় ১৩৭ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. এবিএম আবু হানিফ এ তথ্য জানান। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় গাইবান্ধায় ১৪, লালমনিরহাটে ৬, নীলফামারীতে ৪, কুড়িগ্রামে ৩, দিনাজপুরে ২ এবং রংপুরে ২ জনের শরীরে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে ৫৮ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়।
বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গুতে রংপুর ও গাইবান্ধায় বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছে। তবে হাসপাতালে রোগীর খুব বেশি চাপ নেই। গত ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজন মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত রংপুর বিভাগের আট জেলায় ৩ হাজার ৮৫৮ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুরে চার, দিনাজপুরে তিনজন এবং গাইবান্ধায় একজন মারা গেছেন। আর ৩ হাজার ৭১৩ জন রোগীকে সুস্থতার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।
রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, এখন পর্যন্ত যারা ভর্তি রয়েছে, তাদের যথাসাধ্য চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা ওয়ার্ড রয়েছে। ডেঙ্গু রোগী শনাক্তে কিট সংকট নেই বলেও জানান তিনি।
মশক নিধনের বিষয়ে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র মাহবুবার রহমান মঞ্জু বলেন, ‘মহানগরকে তিনটি অঞ্চলে বিভক্ত করে মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছি। মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্নভাবে প্রচারাভিযান অব্যাহত রয়েছে।’