সারা বাংলা

মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত শিক্ষার্থী 

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার কসবা সাগরপুর গ্রামের করম আলীর মেয়ে নাইমা আক্তার লিয়া (১৩) মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। লিয়াকে এক নজর দেখতে তার বাড়িতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী। 

লিয়া উপজেলার চতুরপুর দাখিল মাদরাসার সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার নাম আকিকা দেওয়ার পর মো. নাইম হোসেন নাম রাখা হবে বলে জানিয়েছেন বাবা-মা। 

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, করম আলীর বাড়িতে দলে দলে এলাকাবাসী আসছেন মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়া লিয়াকে দেখতে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বুধবার সকালে লিয়া তার বাবা করম আলীকে বলে আমি ছেলে হয়ে গেছি। তখন করম আলী তার স্ত্রী পিয়ারা খাতুনকে বলেন, দেখতো মেয়ে বলছে সে নাকি ছেলে হয়ে গেছে। পরে মা পিয়ারা খাতুন তার মেয়ে নাইমা আক্তার লিয়াকে দেখে জানতে পারেন সে সত্যিই মেয়ে থেকে ছেলে হয়ে গেছে। খবরটি জানাজানি হলে লিয়াকে দেখতে করম আলীর বাড়িতে আসতে শুরু করেন দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন। 

এলাকাবাসীরা জানায়, আমাদের গ্রামের করম আলীর মেয়ে লিয়া মেয়ে থেকে ছেলে হয়ে গেছে। আমরা অবাক হয়েছি, আল্লাহপাক সব করতে পারেন। 

লিয়ার বাবা করম আলী রাইজিংবিডিকে বলেন, গত মঙ্গলবার আমার মেয়ে মাদরাসা থেকে বাড়িতে আসে। রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। পরে সকালে ঘুম থেকে উঠে সে আমাকে বলে বাবা আমি ছেলে হয়ে গেছি। তখন আমার স্ত্রীকে বিষয়টি নিশ্চিত হতে বলি। পরে সে আমাকে বিষয়টি সত্য বলে নিশ্চিত করেন।

লিয়ার মা পিয়ারা খাতুন বলেন, বুধবার সকালে আমার মেয়ের বিষয়টি জানার পর নিজে যাচাই করি এবং দেখি বিষয়টি সত্য। আমার দুই মেয়ে এক ছেলে। বর্তমান দুইজনই ছেলে হয়ে গেছে। আমি আল্লাহর নিকট শুকরিয়া আদায় করছি। আগামীতে আকিকা দিয়ে মেয়ের নাম মো. নাইম হোসেন রাখবো।

লিয়া বলেন, আল্লার রহমতে আমি মেয়ে থেকে ছেলে হয়ে গেছি। গত বুধবার সকালে বিষয়টি আমি বুঝতে পেরেছি। আমি মাদরাসায় সপ্তম শ্রেণিতে পড়ালেখা করি। আমি বড় হয়ে শিক্ষক হতে চাই।

এবিষয়ে চতুরপুর দাখিল মাদরাসার সুপার আব্দুর রশিদ বলেন, নাইমা আক্তার লিয়া আমার মাদরাসার শিক্ষার্থী। সে ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় পারদর্শী। আজ লোকমুখে জানতে পারলাম সে মেয়ে থেকে ছেলে হয়ে গেছে। আগামীকাল তাকে দেখতে যাবো।

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন রাইজিংবিডিকে বলেন, উপজেলার কসবা সাগরপুর গ্রামের এক শিক্ষার্থী মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আগামীকাল সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হবে।