মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের মাছকান্দি গ্রামে নাজমা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে। রোববার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে।
এ ঘটনায় সোমবার (১৩ নভেম্বর) মাদারীপুর সদর থানায় নিহত নাজমার স্বামী মস্তফা মুন্সিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এদিকে ঘটনার পর নাজমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের মাছকান্দি গ্রামের মস্তফা মুন্সির (৩৫) সাথে দুধখালি গ্রামের নাজমা আক্তারের সাথে বছর দশেক আগে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের টাকার জন্য সংসারে অশান্তি বিরাজ করছিল। অশান্তির জের ধরে কয়েক বছর আগে আদালতে মামলাও হয়। পরে সন্তানের কথা চিন্তা করে মামলা তুলে নিয়ে আবার সংসার শুরু করে নাজমা। এরপরও সংসারের অশান্তি কমেনি। রোববার নাজমাকে ব্যাপক নির্যাতন করা হয়। পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। যৌতুকের কারণেই নাজমাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন নিহতের পরিবার।
নিহত নাজমার মা তাহমিনা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। আমি এর বিচার চাই। তবে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত মস্তফা ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. নুরুল ইসলাম জানান, মরদেহের ময়না তদন্ত হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে তিনি কিভাবে মারা গেছেন।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, এই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।