সারা বাংলা

‘পরীক্ষার জন্য চিন্তা করতে হবে না আমাদের’

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরমানিকদাহ গ্রামের তুলি সিকদার। বাবা সঞ্জয় সিকদার একজন দিনমজুর। এসএসসি পরীক্ষা দেবেন তুলি। কিন্তু, দিনমজুর বাবার মেয়ে হওয়ায় এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের টাকার ব্যবস্থা করতে পারিছিলেন না তুলি। ফলে পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পরেছিল তার। তাই বাধ্য হয়েই জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেন তিনি। তার আবেদন পেয়ে ফরম পূরণের টাকার ব্যবস্থা করে দিন জেলা প্রশাসক। টাকা পেয়ে খুশি তুলি। পড়ালেখা করে ভালো রেজাল্ট উপহার দিতে চান এই শিক্ষার্থী। 

শুধু তুলিই নয় এরকম ১৩ দরিদ্র শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার ফি হিসাবে আর্থিক সাহায্য দিয়েছেন জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দরিদ্র ১৩ শিক্ষার্থীর হাতে বিভিন্ন অঙের অর্থিক সহযোগিতার টাকা তুলে দেন তিনি। এসময় জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সদর উপজেলার চরমানিকদাহ গ্রামের মুন্নী খানম বলেন, ‘আমার বাবা দিনমজুর। যা আয় করেন তা দিয়ে কোনো রকমে পড়ালেখা চালিয়ে নিলেও ফরম পূরণের টাকার ব্যবস্থা করতে পারছিলেন না। জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করায় তিনি ফরম ফিলাপের টাকা দিয়েছেন। আমরা অনেক খুশি। পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবো এখন। এখন পরীক্ষার জন্য চিন্তা করতে হবে না আমাদের।’

একই গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী বৈশাখী খানম বলেন, ‘পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে টাকা জোগাড় করতে পারছিলাম না। এখন বাবা-মাকে আর চিন্তা করতে হবে না। পড়ালেখা করে ভালো রেজাল্ট উপহার দিতে চাই জেলা প্রশাসককে।’

জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীরা টাকার জন্য ফরম পূরণ করতে পারছিলেন না। তারা আমার কাছে সাহয্যের জন্য আবেদন করেছিলেন। তাদের আবেদন যাচাই বাছাই করে ১৩ জনকে ৩৫ হাজার টাকা নগদ প্রদান করা হয়েছে। আশা করছি, তারা ভালোভাবে পড়ালেখা করবেন। নিজেদের জন্য তারা অবশ্যই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করবেন।