দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার নিজ সম্মেলন কক্ষে ফেনীর ৩টি সংসদীয় আসনে ২১ প্রার্থীর হাতে নির্বাচনী প্রতীক তুলে দেন।
সকাল ১০টায় প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া শুরু হয়। এসময় প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে উপস্থিত হন। প্রথমে ফেনী-১ ও ২ আসনের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে ফেনী-৩ আসনের প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এবার, ফেনীর ৩টি আসনে মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন ৩৮ জন। এর মধ্য, যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহার শেষে ২১ জন বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা হন।
ফেনী-১ আসনে বৈধ প্রার্থী ৬ জন। এর মধ্যে, আওয়ামী লীগের আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম নৌকা প্রতীক, তৃণমূল বিএনপির মো. শাহজাহান সাজু সোনালী আঁশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের কাজী মো. নুরুল আলম মোমবাতি প্রতীক, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের মাহবুব মোর্শেদ মজুমদার ছড়ি প্রতীক, জাতীয় পার্টির শাহরিয়ার ইকবাল লাঙ্গল প্রতীক ও স্বতন্ত্র আবুল হাসেম চৌধুরী ঈগল প্রতীক পেয়েছেন।
ফেনী-২ আসনে বৈধ প্রার্থী ৮ জন। এর মধ্যে, আওয়ামী লীগের নিজাম উদ্দিন হাজারী নৌকা প্রতীক, তৃণমূল বিএনপির আমজাদ হোসেন ভূঁঞা সোনালী আঁশ, জাতীয় পার্টির খোন্দকার নজরুল ইসলাম লাঙ্গল প্রতীক, বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্টের মাওলানা নুরুল ইসলাম মোমবাতি প্রতীক, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের নুরুল আমিন ভূঞা ছড়ি প্রতীক, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ হোসেন ডাব প্রতীক, খেলাফত আন্দোলনের আবুল হোসেন বড়গাছ প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এএসএম আনোয়ারুল করিম ঈগল প্রতীক পেয়েছেন।
ফেনী-৩ আসনে বৈধ প্রার্থী ৭ জন। এর মধ্যে, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীক, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির তোবারক হোসেন একতারা প্রতীক, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. আবু নাছির চেয়ার প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী রহিম উল্ল্যাহ ঈগল প্রতীক, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের নিজাম উদ্দিন মোমবাতি প্রতীক, তৃণমূল বিএনপির আজিম উদ্দিন আহমেদ সোনালী আঁশ এবং সাংস্কৃতিক মুক্তি জোটের জোবায়ের ইবনে সুফিয়ান ছড়ি প্রতীক পেয়েছেন।
প্রতীক বরাদ্দের পর আজ থেকেই প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নামছেন প্রার্থীরা। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী নির্বাচনী প্রচারণা চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। ৭ জানুয়ারি হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। নির্বাচনী আচরণবিধি যাতে লঙ্ঘন না হয় এ বিষয়ে সকল প্রার্থীদের নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা শাহীনা আক্তার।
তিনি বলেন, সকল প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে মাইক ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৩টি মাইক ব্যবহার করা যাবে। এছাড়া, কোনো জীবন্ত প্রাণীকে প্রচারণার কাজে ব্যবহার না করাসহ সব ধরনের আইন মেনে চলতে হবে।