সারা বাংলা

গোপালগঞ্জে শেখ হাসিনাসহ ১৭ প্রার্থী পেলেন প্রতীক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ‘নৌকা’ প্রতীক রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মাহবুবুল আলম তুলে দেন শেখ হাসিনার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ও নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দকারের হাতে। 

এসময় অন্যদের মধ্যে শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, শেখ সারহান নাসের তন্ময় এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জি এম সাহাব উদ্দিন আজমসহ গোপালগঞ্জ জেলা এবং কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া, এই আসনে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এম নিজাম উদ্দিন লস্কার, বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. সহিদুল ইসলাম মিন্টু, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শেখ আবুল কালাম, গণফ্রন্টের সৈয়দা লিমা হাসান ও জাকের পার্টির মাহাবুর মোল্লার হাতেও প্রতীক তুলে দেওয়া হয়।

এর আগে সকাল ১০ টায় গোপালগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মুহাম্মদ ফারুক খানকে ‘নৌকা’ প্রতীক তার প্রতিনিধির হাতে তুলে দেওয়া হয়। এছাড়া এ আসনের অপর প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির অ্যাডভোকেট সহিদুল ইসলাম মোল্যা, স্বতন্ত্র মো কাবির মিয়া, তৃণমূল বিএনপির জাহিদুল ইসলাম ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির শেখ মো. আব্দুল্লাহকে প্রতীক তুলে দেওয়া হয়।

সকাল সাড়ে ১০ টায় গোপালগঞ্জ-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ফজলুল করিম সেলিমের জন্য নৌকা প্রতীক তার প্রতিনিধির হাতে তুলে দেয়া হয়। এ আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির কাজী শাহীন, স্বতন্ত্র মো. আমিনুল হাসান শাহীন, তৃণমূল বিএনপির মো. জামাল উদ্দিন শেখ, জাসদের মো. ফুল মিয়া মোল্লা ও মুক্তির জোটের মামুনুর রশীদ। 

প্রতীক বরাদ্দ শেষে শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এবারের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। উৎসব মুখর পরিবেশে ভোটাররা যাতে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন সেজন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শেখ হাসিনা আবারো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাবেন।

জাতীয় পার্টির প্রার্থী কাজী শাহীন বলেন, সরকার পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন হওয়া জরুরি। নির্বাচনের মধ্যেমে সরকার পাল্টানো সহজ মাধ্যম। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে আছে এবং লড়বে। আশা করি নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে।

জেলা রিটারনিং কর্মকর্তা কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পরপরই প্রার্থীরা প্রচার প্রচারণা করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী প্রার্থীদের প্রচারণা চালানোর অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি আরো জানান, গোপালগঞ্জ-১ আসনে ৫ জন ও গোপালগঞ্জ-২ আসনে ৬ জন ও গোপালগঞ্জ-৩ আসনে ৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। জেলার তিনটি আসনে মোট ১৭জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।