সারা বাংলা

গাজীপুরে ৭ ফুট লম্বা কলার ছড়ি 

একটি বিনোদন পার্কে লাগানো কলাগাছের একটি ছড়িতেই কলা ধরেছে প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার। কলার ওজনে যাতে গাছটি হেলে না পড়ে তার জন্য দুটি বাঁশ দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। সেই কলা গাছ দেখতে প্রতিদিন উৎসুক মানুষ ভিড় করছে পার্কে। যেটি রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন ভাইরাল। 

এই কলা গাছটি গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার লতিফপুর এলাকায় মনপুরা নামের একটি বিনোদন পার্কে।

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানান, দুই বছর আগে মনপুরা পার্কে ঘুরতে এসে এক দর্শনার্থী একটি কলার চারা উপহার হিসেবে দিয়ে যায়। পরে কলার চারাটি পার্কের ভেতরেই রোপণ করেন পার্ক কর্তৃপক্ষ। ধীরে ধীরে ওই চারাটি বড় হতে থাকে। এক সময় চারা গাছটি বড় হয়ে কলাও ধরে। ওই ছড়িটিও বড় হয়। পরে ওইখান থেকেই নতুন করে একটি কলার চারা জন্ম নেয়। কলা গাছটি বড় হয়। গত ৬ মাস আগে গাছটিতে কলার ছড়ি বের হয়। ছড়িটিও বড় হতে থাকে। বড় হতে হতে কলার ছড়িটি প্রায় ৭ ফুট লম্বা হয়ে মাটিতে ছুঁয়ে যায়। ছড়িটিতে কয়েক হাজার কলা ধরেছে। ছড়ির উপরের অংশের কিছু কলা খাওয়ার উপযোগী। তবে নিচের কলাগুলো একেবারেই ছোট যা খাওয়ার অনুপযোগী। ওই গাছের কলা খেতে চম্পা কলার মতই স্বাদ। এ ধরনের কলার ছড়ি সচরাচর দেখা যায় না।

রাজিব নামে এক দর্শনার্থী বলেন, লম্বা কলার ছড়ির কথা শুনে গাছটি দেখতে গিয়েছিলাম। এতো বড় কলার ছড়ি জীবনেও দেখিনি। আমার মতো সবাই কলা গাছটি দেখতে পার্কে ভিড় জমিয়েছে। 

মনপুরা পার্কের ব্যবস্থাপক জায়েদ হাসান জানান, গত দুই বছর আগে এক দর্শনার্থী পার্কে ঘুরতে এসেছিলো। তিনি তাদের মালিককে কলাগাছটি উপহার হিসাবে দিয়ে যান। এটি হাজারীকা জাতের কলা গাছ। কলার ছড়ি দেখতে অনেকেই দূর-দূরান্ত থেকে পার্কে আসছেন। 

গাজীপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিবুল হাসান জানান, কলার ছড়িটা দেখতে আমরা পার্কে গিয়েছিলাম। উপরের কলাগুলো খাওয়ার উপযোগী থাকলেও নিচের কলাগুলো যাওয়া অযোগ্য।