রাজশাহী-২ (সদর) আসনের নৌকার প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রচার মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকালে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে তাদের বাধা দেওয়া হয়।
ঘটনার পর রাত ৮টায় নিজের নির্বাচনি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শফিকুর রহমান বাদশা। জোটের প্রার্থী হিসেবে এ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান এমপি ফজলে হোসেন বাদশা।
সংবাদ সম্মেলনে শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, বিকালে সাহেববাজার এলাকায় নৌকার প্রার্থীর একটি সমাবেশ চলছিল। এর সামনের সড়ক দিয়ে তিনি একটি প্রচার মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় নৌকার সমর্থকরা তাদের উস্কানিমূলক কথা বলেন। এক পর্যায়ে মিছিলে এসে তার কর্মী-সমর্থকদের বাধা দেয়। নৌকার প্রার্থী নিশ্চিত পরাজয় জেনে এখন ভিন্ন পন্থায় নির্বাচনি বৈতরণী পার হতে চাইছেন। এ জন্য নানারকম উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে যাচ্ছেন।
শফিকুর রহমান বাদশার এ সংবাদ সম্মেলন চলাকালে তাঁর নির্বাচনি কার্যালয়ের সামনে নৌকার প্রার্থীর চারটি প্রচার মাইকের অটোরিকশা এসে থেমে যায়। সেখানে নৌকার পক্ষে গান বাজানো শুরু হয়। তখন রাত সাড়ে ৮টা। বিষয়টি দেখিয়ে শফিকুর রহমান বাদশা বলেন, ‘এই যে এখন আমার নির্বাচনি কার্যালয়ের সামনে এসে এতগুলো মাইক বাজানো হচ্ছে। মাইক বাজানো যাবে রাত ৮টা পর্যন্ত। এখন সাড়ে ৮টা বাজে। আমাদের সংবাদ সম্মেলন বাধাগ্রস্ত করতে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সাড়ে ৮টায় আমার নির্বাচনি কার্যালয়ের সামনে চার চারটি মাইক বাজানো হচ্ছে। ফজলে হোসেন বাদশা চাচ্ছেন, আমাদের উস্কানি দিয়ে আমার কর্মীদের বিক্ষুব্ধ করে তুলতে। কিন্তু আমাদের কর্মীরা তার পাতানো ফাঁদে পা দেবে না।’
শফিকুর রহমান বাদশা আরও বলেন, ‘বুধবার রাজশাহী জেলা ও মহানগরসহ কয়েকটি জেলার সঙ্গে ভার্চুয়ালি জনসভা করেছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন— আসন উন্মুক্ত, যার যাকে খুশি ভোট দেবেন। এরপরও নৌকার প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা আমাদের কটাক্ষ করছেন। এসবের জবাব আগামী ৭ তারিখে জনগণ দেবে।’
সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. আ.ফ.ম জাহিদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক মুসাব্বিরুল ইসলাম, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মীর তৌফিক আলী ভাদুসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবুর মুঠোফোনে কয়েকদফা ফোন করা হয়। তবে তিনি ধরেননি। নৌকার প্রার্থী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশার মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। তাই অভিযোগের বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।