সারা বাংলা

‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট করা হবে’

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে স্মার্ট মন্ত্রণালয় হিসেবে গড়ে তোলা হবে। দেশের দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় চাহিদা অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে যথাযথ বরাদ্দ দেওয়া হবে। দেশের সমস্ত মুজিব কিল্লাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত করে গড়ে তোলা হবে।

মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেট মাঠে সিপিপি, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্বুদ্ধকরন সমাবেশ ও মাঠ মহড়ায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মহিব্বুর রহমান।

কলাপাড়ার ইউএনও মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আমি আপনাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি আগামী দিনগুলোতে দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে আপনাদের সম্পৃক্ত করা হবে। যে সমস্ত স্বেচ্ছাসেবক অসহায়, দুস্থ রয়েছেন তাদের পার্বণ, ঈদ, কোরবানিতে প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসা হবে। এছাড়া মৃত স্বেচ্ছাসেবক ও অসুস্থ স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য আমরা চিন্তাভাবনা করছি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুর্যোগ ও ত্রাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মিজানুর রহমান, দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবিউল ইসলাম, উপ-সচিব ফারুক হোসেন, কেয়ার বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস্টার রামদাস, সিপিপি'র মহাসচিব কাজী শফিকুল আজম, আইওএম’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস্টার আব্দুস সাত্তার ইসোয়েভ, জাগো নারী ফাউন্ডেশন’র নির্বাহী পরিচালক হোসনেয়ারা হাসি, দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবিউল ইসলাম এনডিসি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলমগীর হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিপিপি'র পরিচালক প্রশাসন মো. আহমেদুল হক।

এর আগে ৯ জন অসুস্থ স্বেচ্ছাসেবকদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয় এবং ১০ হাজার জেলের মাঝে জীবন রক্ষাকারী বয়া বিতরণ করা হয়। পরে অনুষ্ঠানের স্থলে সিপিবি স্বেচ্ছাসেবকদের উদ্যোগে মাঠ মহড়া ও রাখাইন শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।