সারা বাংলা

ভোলার আদর্শ দধি ভাণ্ডার 

চরাঞ্চল থেকে মহিষের দুধ সংগ্রহ করে তা থেকে উৎপাদিত টক দধি বিক্রি করে সফল ভোলা সদরের আবদুল হাই। পূর্ব পুরুষের ব্যবসা হিসেবে গাজীপুর রোডের আদর্শ দধি ভাণ্ডার তিনি এই টক দধি বিক্রি করছেন। মাটির হাড়িতে পরিমাণ মতো কাঁচা দুধ ঢেলে পাতলে ১৫-১৬ ঘণ্টা পর তৈরি হয় এ টক দই। দাম সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় দূর-দূরান্তের দধি ক্রেতারা দিনভর এখানে ভিড় জমান।

দধি ভান্ডারের নিয়মিত কাস্টমার জামাল উদ্দিন জানান, অনন্য স্বাদ হওয়ায় কেউ অনুষ্ঠানের জন্য অর্ডার দিয়ে দধি কিনে নেয়। আবারও কেউ দোকানে বসে মুড়ি বা অন্য কিছুর সঙ্গে মেখে খান।

আরেক কাস্টমার আব্বাস আলী বলেন, এ দধির এমনি স্বাদ যে একবার এই স্বাদ নিয়েছে, আবারও খেতে চেয়েছে। দামে কম ও খেতে সুস্বাদু হওয়ায় এ চাহিদা ভোলার গন্ডি পেরিয়ে অন্যান্য জেলায় পৌঁছে গিয়েছে। যে কোনো অনুষ্ঠানে এ দধির কদর অনেক বেশি।

দোকানে মহিষের কাঁচা দুধ যোগান দেয়া গোয়ালা সবুজ জানান, নৌযান স্বল্পতায় দুর্গম চর থেকে সময়মতো শহরে মহিষের দুধ পৌঁছাতে বেগ পেতে হয় তাদের। এই প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে মহিষের দুধের যোগান দিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

দোকানের কর্মচারী সুনীল চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ক্রেতাদের থেকে ভালো সাড়া পাওয়া এবং দোকানের মালিক ভালো হওয়ায় দুই যুগেরও বেশি সময় এ দোকানে দধি বিক্রির সঙ্গে নিজেকে জড়িত রেখেছেন তিনি।

আদর্শ দধি ভান্ডারের মালিক আবদুল হাই জানান, এক হাড়ি টক দধির দাম ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। বছরের পর বছর সুনাম ধরে রাখায় আদর্শ দধি ভান্ডারে বিক্রি হওয়া এই টক দধি এখন ভোলার ঐতিহ্য। দিনে ৭-৮ হাজার টাকার টক দধি বিক্রি করেন তিনি। এ ব্যবসায় তিনি পরিবার নিয়ে ভালো আছেন বলে জানান।