সারা বাংলা

ঠাকুরগাঁওয়ে আগুনে পুড়লো আড়াই হাজার মুরগির বাচ্চা

ঠাকুরগাঁওয়ে একটি পোল্ট্রি ফার্মে লাগা আগুনে ২ হাজার ৫০০টি মুরগির বাচ্চা মারা গেছে। গতকল শুক্রবার (৮ মার্চ) জুমার নামাজের সময় সদর উপজেলার রায়পুর বিল এলাকার ফার্জিনা হাস্কিং মিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় উদ্যোক্তা আশরাফ আলী ও জসিম উদ্দীন নামে দুইজন গত বছর থেকে মিলটি ভাড়া নিয়ে পোল্ট্রি ফার্ম চালাচ্ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় পোল্ট্রি ফার্মে আগুন লাগে। স্থানীয়রা ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। তারা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন নেভানোর আগেই ফার্মে থাকা ২ হাজার ৫০০টি মুরগির বাচ্চা পুড়ে মারা যায়।

ফার্মের মালিক আশরাফ আলী বলেন, ফার্মটির পাশে কোন জনবসতি নেই। শুক্রবার দুপুরে আমরা বৈদ্যুতিক সব লাইন বন্ধ করে দিয়ে নামাজে যাই। নামাজ শেষ করে আগুন লাগার খবর পাই। দ্রুতই ছুটে আসি। এসে দেশি আগুন জ্বলছে। বাতাস থাকায় দ্রুত আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনটি মুরগির শেড পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পুড়ে যাওয়া শেডগুলোতে ২ হাজার ৫০০টি মুরগির বাচ্চা ও যন্ত্রপাতি ছিল। আগুনে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

অপর মালিক জসিম উদ্দীন বলেন, এই পোল্ট্রি ফার্ম ঘিরে আমরা স্বপ্ন বুনেছিলাম। কিন্তু, আগুন আমাদের সব স্বপ্ন শেষ। আমরা পথে বসে গেলাম। আমরা মনে হচ্ছে, কেউ পরিকল্পিতভাবেই আমাদের পোল্ট্রি ফার্মে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আশা করি প্রশাসন এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তিনটি ঘর ও ওই সব ঘরে থাকা মুরগির বাচ্চা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করবো ক্ষতিগ্রস্ত দুই উদ্যোক্তাকে সহযোগিতা করার জন্য।

ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর সারোয়ার হোসাইন বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে পোল্ট্রি ফার্মের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, লিখিত অভিযোগ দেয়নি কেউ। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।