‘সেবার ব্রতে চাকরি’— স্লোগানে শতভাগ মেধা, যোগ্যতার ভিত্তিতে স্বচ্ছতার মাধ্যমে বরগুনায় পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদের নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পুলিশে চাকরি পেয়েছেন ২২ তরুণ-তরুণী। এই চাকরি পেতে অনলাইনে আবেদন বাবদ জনপ্রতি খরচ হয়েছে মাত্র ১২০ টাকা।
বুধবার (২৪ মার্চ) রাতে বরগুনা পুলিশ লাইনে এই তরুণ-তরুণীদের নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করেন বরগুনা পুলিশ সুপার আব্দুস ছালাম। এতে ১৯ জন ছেলে এবং ৩ জন মেয়ে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ সময় তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় জেলা পুলিশ। কোনো হয়রানি, সুপারিশ এবং ঘুষ ছাড়া পুলিশের গর্বিত সদস্য হতে পেরে খুশিতে আত্মহারা হতদরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারে এ সকল তরুণ-তরুণীরা।
নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম হওয়া খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘অভাব অনটনের মধ্যে বড় হয়ে লেখাপড়া করেছি। বাবা-মা দিনরাত পরিশ্রম করে এতদূর নিয়ে এসেছেন। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হবে এটা কল্পনাও করিনি। যে সততার সঙ্গে চাকরি পেয়েছি, সেই সততার মাধ্যমে মানুষকে সেবা দিয়ে চাকরি জীবন শেষ করব।’
বরগুনা পুলিশ সুপার আব্দুস সালাম বলেন, যোগ্যতা ও মেধার ভিত্তিতে ২২ তরুণ-তরুণী চাকরি পেল। নিয়োগে তাদের কোনো যোগাযোগ, লবিং ও ঘুষ বিনিময় করতে হয়নি। তাদের মাত্র আবেদন করতে যে খরচ হয়েছে ১২০ টাকা, সেটিই তাদের খরচ। তাদের জন্য শুভকামনা রইল।
বরগুনা জেলার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল ২২ জনের শূন্য পদের বিপরীতে প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং শেষে ২৪৯ জন প্রার্থী শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পান। শারীরিক মাপ, শারীরিক সক্ষমতা যাচাই পরীক্ষা শেষে ২৪১ জন লিখিত পরীক্ষা অংশ নেন এবং লিখিত পরীক্ষায় ৭০ জন উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক (ভাইভা) পরীক্ষায় অংশ নেন। তার মধ্যে চূড়ান্তভাবে ২২ জনকে মনোনীত করে বরগুনা জেলা টিআরসি-২০২৪ নিয়োগ বোর্ড। এতে অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে আরও ৬ জনকে।
২২ জনের মধ্যে সাধারণ কোটা ১২ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৪ জন, পুলিশ পোষ্য কোটায় ২ জন, ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী কোটায় একজন নিয়োগ পেয়েছেন। নারী সাধারণ কোটায় ২ জন এবং নারী পুলিশ পোষ্য কোটায় একজন নিয়োগ পেয়েছেন।