সারা বাংলা

এটুকু অন্যায় করবোই, নির্বাচনে খরচের টাকা তুলবো: এমপি কালাম

‘নির্বাচনে ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকা আমি তুলবো। এটুকু অন্যায় আমি করবোই। এতটুকু অনিয়ম আমি করবোই।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য (লালপুর-বাগাতিপাড়া) নাটোর-১ আসনের এমপি আবুল কালাম আজাদের নির্বাচনী ব্যয় সংক্রান্ত এমন বক্তব্যে তীব্র সমালোচনার ঝড় উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

মহান স্বাধীনতা দিবস (২৬ মার্চ) উপলক্ষে লালপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পরদিন তার এই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে উপজেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানে একজন সংসদ সদস্যের প্রকাশ্যে এমন বক্তব্যকে দুর্ভাগ্যজনক ও দুর্নীতিকে উৎসাহিত করবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। অন্যদিকে সবার সামনে এমন কথা বলায় বিব্রত হয়েছেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতারও।

অনুষ্ঠানে আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ২৫ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছি। ট্যাক্স ফ্রি গাড়ি কিনেছি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে। ইচ্ছা করলে আমি এক কোটি টাকা দিয়ে গাড়ি কিনতে পারতাম। কিন্তু আমার যেহেতু টাকা নাই, আমি ২৭ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছিলাম। এবার আমি কিনব, ওই টাকা দিয়ে কিনব। ওই টাকা আমি তুলে নেবো। নিয়ে আর কিছু করবো না। খালি এই এক কোটি ২৬ লাখ টাকা তুলবো।

দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি নাটোর জেলা শাখার সভাপতি সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, একজন সংসদ সদস্য যদি প্রকাশ্য কোনো অনুষ্ঠানে অনিয়ম দুর্নীতি করার ঘোষণা দেন তাহলে এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক।

লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শারমিন আখতার বলেন, কিভাবে সংসদ সদস্য সকলের সামনে এমন কথা বললেন তা আমি জানি না। এমন কথাতে আমি নিজেও বিব্রত হয়েছি।

এ বিষয়ে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেন, ওটা এমন কিছু না। বক্তব্য দেওয়ার সময় মজা করে আমি কথাটা বলেছি। ওটা সিরিয়াস কোনো কথা নয়। বিষয়টা আপনারা সিরিয়াসভাবে নেবেন না।

প্রসঙ্গত, নাটোর-১ (লালপুর-বাগাতিপাড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ ৭৭ হাজার ৯৪৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম নৌকার প্রার্থী শহিদুল ইসলাম বকুল পেয়েছেন ৭৫ হাজার ৯৪৭ ভোট। এর আগে তিনি ২০১৪ সালে এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ উদ্দিনের ছোট ভাই।