নির্বাচন কমিশনার (ইসি) রাশেদা সুলতানা বলেছেন, ‘উপজেলা ভোটে যেহেতু দলীয় প্রতীক নেই, এ জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে। ভোটের পরিবেশ ভালো থাকায়, ভোটার উপস্থিতিও বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে দ্বন্দ্ব। প্রশাসনের মধ্যে সমন্বয় ও নিরপেক্ষতা দরকার। দৃঢ় সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে প্রশাসনের আন্তরিকতায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়া সম্ভব। কোনো ভাবে নির্বাচনকে কলুষিত করা সহ্য করা হবে না। তাই নির্বাচন কাজে কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষ ভূমিকা রাখতে হবে।’
রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে রংপুরে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে বিভাগের সব জেলা ও উপজেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
রাশেদা সুলতানা বলেন, আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে সব প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশনের আছে। তাই কমিশনের প্রতি ভোটারদেরও আস্থা রাখতে হবে।
ষষ্ঠ ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কোনো প্রার্থী পেশি শক্তি বা প্রভাব খাটিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মতবিনিময়ের শুরুতে ষষ্ঠ ধাপের প্রথম পর্যায়ে রংপুর বিভাগের ১৯ টি উপজেলার নির্বাচনি এলাকার যাবতীয় তথ্যাদি ইসি সামনে উপস্থাপন করেন উপজেলাগুলোর নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন- রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বিভাগের সব জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও নির্বাচন কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।