সারা বাংলা

ধর্ষণ মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় ৪ বছরের সাজা

বাদির ধর্ষণ মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (৩ এপ্রিল) বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সিনিয়র জেলা জজ মো. মশিউর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন বরগুনা সদর উপজেলার উত্তর হেউলিবুনিয়া গ্রামের সোহরাব হোসেন গাজীর স্ত্রী লাইলী বেগম। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিলেন। 

এই তথ্য নিশ্চিত করেন বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান।

জানা যায়, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লাইলী বেগম বাদি হয়ে ওই ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন, তার স্বামী রাজমিস্ত্রি কাজ করতে যায়। ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৮ টায় লাইলী বেগম ঘরের বাইরে নামে। এই ফাঁকে বাড়ি খালি থাকার সুযোগে আবদুল মোতালেব মিয়ার ছেলে জলফু মিয়া লাইলী বেগমের বসত ঘরে ঢুকে। লাইলী বেগম ঘরে গেলে জলফু মিয়া লাইলী বেগমকে জোর করে ধর্ষণ করে। 

প্রায় সাত বছর মামলা চলার পর বাদির মামলা মিথ্যা প্রমাণিত হলে আসামি জলফু মিয়া বাদি হয়ে লাইলী বেগমের বিরুদ্ধে ওই ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। সাক্ষ্য প্রমাণে লাইলী বেগমকে দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ডাদেশ প্রদান করেন বিচারক। 

রাস্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এই রায়ের বার্তা সবার কাছে পৌঁছলে মিথ্যা মামলা করার প্রবণতা কমে আসবে। বাদী একদিকে যেভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করেছে, তেমনি আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করেছে।