সারা বাংলা

পটুয়াখালীর ২১ গ্রামে ঈদ উদযাপন

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে পটুয়াখালীর ২১টি গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন। আজ সকাল সাড়ে ৮টায় কলাপাড়ার ধানখালী ইউনিয়নের উত্তর নিশানবাড়িয়া জাহাগিরিয়া শাহসূফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ প্রাঙ্গনে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ১০০ বছর ধরে তারা একদিন আগেই ঈদ উদযাপন করে আসছেন। 

এছাড়া, জেলার সদর উপজেলার চারটি, কলাপাড়ার সাতটি, রাঙ্গাবালীর দুটি, গলাচিপার তিনটি, দুমকির দুটি ও বাউফল উপজেলার তিনটি গ্রামে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নামাজ শেষে মুসল্লিরা একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করেন।

চম্পাপুর থেকে নিশানবাড়িয়া জাহাগিরিয়া শাহসূফি মমতাজিয়া দরবার শরীফে ঈদের জামাতে আসা ফরিদ শিকদার বলেন, আমার বাপ-দাদারা চট্টগ্রামের এলাহাবাদ সুফিয়া ও চানটুপির অনুসারী ছিলেন। আমরাও শাহ সুফির অনুসারী। আজ এখানে হাজারো মানুষ একসঙ্গে ঈদের নামাজ পড়েছি। আমরা দুনিয়ার প্রতিটি মুসলমান এক সঙ্গে চলতে পারি আল্লাহর কাছে সেই দোয়া করেছি। 

উত্তর নিশান বাড়িয়া এলাকার সায়েম মিয়া বলেন, আমার পরিবারের সবাই আজ ঈদ উদযাপন করছি। ঈদের নামাজ আদায় করেছি। ভালোই কাটছে সময়। 

উত্তর নিশানবাড়িয়া জাহাগিরিয়া শাহসূফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের পরিচালক নিজাম বিশ্বাস জানান, এখানে এক হাজারেরও বেশি মুসুল্লি একত্রে নামাজ আদায় করেছেন। এখানে আমরা মিষ্টান্নের আয়োজন করেছি। এছাড়া কলাপাড়ার বেশ কয়েকটি স্থানে আজ ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা মূলত দেশের যেকোনো স্থানে চাঁদ দেখা গেলেই ঈদ উদযাপন করি। কারণ ইসলামে আছে চাঁদ দেখলেই ঈদ উদযাপন করতে হবে। তাই সব মুসলমানদের আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঈদ উদযাপন করার অনুরোধ করছি।