সারা বাংলা

মুক্ত হয়েই তৌফিকুলের ফোন, পরিবারে ঈদের আনন্দ

টানা ৩১ দিন জিম্মি দশার পর জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হয়েই রোববার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৪টায় ফোন করে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের প্রকৌশলী মো. তৌফিকুল ইসলাম। এখন খুলনার এই প্রকৌশলীর বাড়িতে বিরাজ করছে ঈদের আমেজ। মা-বাবা এবং স্ত্রী-সন্তানরা সবাই মহাখুশি। সদ্য বিদায়ী ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে না পারলেও এখন তারা ঈদের খুশি ভাগাভাগি করছেন। 

প্রকৌশলী তৌফিকুলের বাবা মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, আজ ভোর ৪টায় তৌফিকুল নিজেই ফোন করে খুশির খবরটি জানায়। তার স্ত্রী ফোনটি রিসিভ করেছিল। এরপরে সবাই কথা বলে তার সঙ্গে। তৌফিকুল পুরো ঘটনার বিস্তারিত জানায়। ৩১ দিন পর কাঙ্খিত এ খবরটি শোনার পর পরিবারের সবাই আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেছেন। এখন সন্তানকে কাছে পাওয়ার অপেক্ষায় আছি আমরা। পরিবারে ঈদের আমেজ ফিরে এসেছে।

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ ‌‘এমভি আবদুল্লাহ’ এর দ্বিতীয় প্রকৌশলী ছিলেন খুলনার মো. তৌফিকুল ইসলাম। তিনি খুলনা নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ২০/১ করিমনগর এলাকার মো. ইকবাল এবং দিল আফরোজা দম্পতির ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট‌। ছেলের মুক্তির খবরে বৃদ্ধা মা দিল আফরোজ, স্ত্রী জোবাইদা নোমানের মুখে হাসি ফুটেছে। 

জানা গেছে, তৌফিকুল ইসলামের ছোট বেলা থেকেই বেড়ে ওঠা খুলনা নগরীর করিমনগরে। তিনি জাহাজের সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি চাকরিতে যোগ দেন। ২০১৫ সালে বিয়ে করেন তিনি। তার দুই সন্তানের বাবা। 

জানা গেছে, গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।