সারা বাংলা

ভাঙা সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল, ৪০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ও নওদা শালুয়া খালের উপরে নির্মিত সেতু ভেঙে পড়ায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় সেতুর পূর্ব পাশের ভারী যানবাহন চলাচল একদম বন্ধ হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে বাঁশের মাচাল দিয়ে চলাচল করছেন ওই এলাকার মানুষ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

নলকা-শালুয়া সেতু দিয়ে চলাচলকারীদের সূত্রে জানা যায়, কয়েক যুগ আগে নির্মিত সেতুটি গত পাঁচ বছর ধরে নড়বড়ে ছিল। এ অবস্থায় স্থানীয় ইটভাটার মাটি বহনকারী ট্রাক চলাচল করায় সম্প্রতি সেতুটির একাংশ ভেঙে পড়ে। এতে ওই রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে অটোরিকশা, ভ্যানসহ হালকা যানবাহন এখনো চলাচল করছে। বর্তমানে ভাঙা অংশের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়তে থাকায় ওই ইউনিয়নসহ প্রায় ৪০টি গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় সেতুর ভেঙে যাওয়া অংশে বাঁশের মাচা বিছিয়ে হালকা যানবাহন চলাচল করছে। তবে খুঁটির নড়বড়ে অবস্থা। এতে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছেন। জরুরি ভিত্তিতে নলকা-শালুয়া সেতু সংস্কার বা পুনরায় নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ বলেন, ভাঙা সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পরও কাজ হচ্ছে না। মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে এলাকাবাসী মিলে সামান্য চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। যেকোনো মুহূর্তে সেতু ভেঙে মানুষের মৃত্যুসহ বড় ধরনের বিপদ ঘটতে পারে।

পাঙ্গাসী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নান্নু বলেন, সেতুটি অনেক আগের। এ কারণে  ভেঙে গেছে। তবে সেতুটি দিয়ে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। জরুরি ভিত্তিতে বিষয়টির স্থায়ী সমাধান করতে হবে। আধুনিক সেতু নির্মাণের জন্য সংশিষ্টদের বিষয়টি জানানো হয়েছে।

রায়গঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ বলেন, সেতুর যাবতীয় তথ্যাদি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুত সময়ের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন হবে।

রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, সেতু পরিদর্শন শেষে এলজিইডিকে জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত জনগণের ভোগান্তি নিরসন করা হবে।