বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ধর্মঘটে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন বৃহত্তর চট্টগ্রামের লাখো মানুষ। একদিকে তীব্র রোদের গরম, অপরদিকে অতি প্রয়োজনে সড়কে বের হয়ে যানবাহন না পেয়ে ভোগান্তির শেষ নেই সাধারণ মানুষের।
চট্টগ্রাম পিকআপ-সিএনজি-টেম্পো ও পণ্য পরিবহন মালিক-চালক ঐক্য পরিষদ ধর্মঘট প্রত্যাখ্যান করলেও সড়কে পর্যাপ্ত গণপরিহন মিলছে না। নগর থেকে বিভিন্ন উপজেলাতেও বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। এই ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম মহানগরীতে সকাল থেকে কোনো গণপরিবহন চলাচল করছে না। বিচ্ছিন্নভাবে কিছু বিআরটিসি বাস, অটোটেম্পো চলাচল করতে দেখা গেছে। এসব যানবাহন এলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন যাত্রীরা।
নগরীর বহদ্দার হাট এলাকা থেকে আগ্রাবাদ যাওয়ার জন্য অপেক্ষমান যাত্রী আহসান উল্লাহ জানান, তীব্র গরমে এক ঘণ্টার বেশি দাঁড়িয়ে আছি, কিন্তু কোনো গণ পরিবহন নাই। কিছু সিএনজি অটোরিকশা থাকলেও ইচ্ছা মতো ভাড়া হাঁকাচ্ছে। সকালে অফিসে যেতে এসে চরম দুর্ভোগে পড়েছি।
যানবাহন শূন্য নগরীর বিভিন্নস্থানে শত শত যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। নগরীর অক্সিজেন, মুরাদপুর, দুই নম্বর গেইট, জিইসি, চকবাজার, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, নিউমার্কেটসহ নগরীর প্রতিটি মোড়ে তীব্র রোদ মাথায় নিয়ে শত শত যাত্রীকে যানবাহনের জন্য চরম দুর্ভোগ পোহাতে দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, চুয়েটের তিন শিক্ষার্থী হতাহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গাড়ি পোড়ানোর প্রতিবাদসহ ৪ দফা দাবিতে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫ জেলায় রোববার ভোর ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেয় বৃহত্তর চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
তাদের দাবিগুলো হলো- জেলার বিভিন্ন পোস্ট ও স্টেশন থেকে লাইনম্যানসহ অনেক পরিবহন শ্রমিককে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাম দিয়ে গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলা দেওয়া বন্ধ করা, চুয়েটের তিনজন শিক্ষার্থীর দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে সড়কে যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, কক্সবাজারে তিন মাস আগের একটি সড়ক দুর্ঘটনার জেরে সংশ্লিষ্ট পরিবহনের অন্য একটি বাস স্থানীয় একজন চেয়ারম্যান আটকে যাত্রীদের নামিয়ে দেন এবং এই কাজে একজন স্থানীয় এমপির নাম ব্যবহার করা হয়। এই অত্যাচার বন্ধ করা। অবৈধ ও অনুমোদনহীন যানবাহনের চলাচল বন্ধ করা।