প্রায় ৮ ঘণ্টা পর ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে যানবাহনের চাপ রয়েছে।
শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুর ১ টার পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এর আগে ভোর রাত ৫ টা থেকে একাধিক সড়ক দুর্ঘটনার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় থেকে টাঙ্গাইল সদরের রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে চরম বিপাকে পড়েন ঈদে ঘরমুখো যানবাহনের চালক ও যাত্রীগণ।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সাজেদুর রহমান জানান, মধ্যরাত থেকে এই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। তাছাড়া মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। তবে কেউ মারা যায়নি। দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন সরিয়ে নিতে কিছুটা সময় লেগে যাওয়ায় ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। মহাসড়কে পর্যাপ্ত পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু সূত্র জানায়, বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ৪০ হাজার ৯০৬ টি যানবাহন পারাপারের বিপরীতে ৩ কোটি ২১ লাখ ৯৭ হাজার ৩০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ে ২৪ ঘণ্টায় ১৮ থেকে ২০ হাজার যানবাহন সেতু পারাপার হলেও ঈদ যাত্রাকে কেন্দ্র করে তা বাড়তে থাকে। গত বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২ টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে ২২ হাজার ৬৪৫টি যানবাহন পারাপার হয়। এ থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার ৪০০ টাকা। সেতুর পশ্চিম প্রান্তে ১৮ হাজার ২৬১ টি যানবাহন থেকে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৬৩ লাখ ১৫ হাজার ৯০০ টাকা।
বঙ্গবন্ধু সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, অন্যান্য দিনের তুলনায় কোরবানির ঈদকে ঘিরে মহাসড়কে গরুবাহী ট্রাক, পিকআপ ও যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়াও উত্তরবঙ্গ থেকে ফলবাহী ট্রাকের সংখ্যা বাড়ছে। যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করলেও এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো যানজট নেই। স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করছে।