সারা বাংলা

সাতক্ষীরায় বিশেষ আদেশে আদালত বসিয়ে ৬ শিক্ষার্থীর জামিন 

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিশেষ আদেশে আদালত বসিয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় দায়ের করা সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ৬ এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

জামিন পাওয়া শিক্ষার্থীরা শুক্রবার (২ আগস্ট) রাত ৮টার পর সাতক্ষীরা জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান।

এর আগে শুক্রবার সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের হাজির করা হলে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালতের বিচারক এস. এম. আশিকুর রহমান তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। 

জামিনে মুক্তি পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- সাতক্ষীরার লাবসা এলাকার কাজী কামরুল হাসানের ছেলে কাজী সাকিব হাসান (১৯), দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের মোহাম্মদ সাইদুল ইসলামের ছেলে ফাহিম হোসেন রনি (১৯), একই গ্রামের নুর নবীর ছেলে জাহিদ হোসেন (১৯), দেবহাটা উপজেলার দেবীশহর গ্রামের আফসার আলীর ছেলে আসাদুল্লাহ আকাশ (২০), সাতক্ষীরা শহরের ইটাগাছা পশ্চিম পাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে তাসিন ফারহান নিলয় (২২) ও মধুমল্লারডাঙ্গী গ্রামের শেখ সাইফুলৈ ইসলামের ছেলে শেখ নাফিজুল ইসলাম (২০)। 

সাতক্ষীরা আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান জানান, গত ১৭ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সদর থানার সামনে পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সদর থানার উপ-পরিদর্শক ব্রজকিশোর পাল বাদী হয়ে ১৮ জুলাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদের মধ্যে ১৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৯ জুলাই প্রত্যেককে দুইদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পরদিন ছয়জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীসহ সাতজনকে কারাগার থেকে থানা হেফাজতে আনা হয়। গত পহেলা আগস্ট তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। 

তিনি আরও জানান, রিমান্ড শেষে কারাগারে থাকা ছয়জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর পক্ষে শুক্রবার ছুটির দিনে দায়িত্বে থাকা সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকের কাছে বিশেষ বিবেচনায় জামিন আবেদন করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ (২), অ্যাডভোকেট হাসিবসহ কয়েকজন আইনজীবী। এ সময় তিনি (মেহেদী হাসান) রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তাদেরকে পরীক্ষা দেওয়ার সুবিধার্থে জামিন মঞ্জুর করেন। সন্ধ্যার পর জামিন পাওয়া শিক্ষার্থীদের জামিননামা সাতক্ষীরা কারাফটকে পৌঁছানোর পর তা যাঁচাই বাছাই শেষে রাত ৮টার দিকে কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়। 

সাতক্ষীরা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিশেষ বিবেচনায় ছয় এইচএসসি পরীক্ষার্থীর জামিন হওয়ায় অভিভাবকরা খুশী হয়েছেন। এছাড়াও আদালতের প্রতি তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।