সারা বাংলা

নোয়াখালীতে ৫ দিনে আ. লীগের ৫৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্টে নোয়াখালীতে পৃথক অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগের ১৩ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। এ নিয়ে গত পাঁচদিনে ৫৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার হয়েছে। 

শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম। 

জানা যায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ ঘোষণার পর থেকে নোয়াখালীর ৯ উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করছে যৌথবাহিনী। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় সুধারাম থানা থেকে চারজন, বেগমগঞ্জ থানা থেকে দুইজন, কবিরহাট থানা থেকে একজন, চরজব্বর থানা থেকে একজন, হাতিয়া থানা থেকে একজন, চাটখিল থানা থেকে দুইজন ও সেনবাগ থানা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। এসব অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও নৌপুলিশ একযোগে কাজ করছে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মো. ইমতিয়াজ সুমন (২৯), মো. হৃদয় (২৪), মো. হাসান (১৯), আমজাদ হোসেন বাপ্পি (২৫), মঞ্জুরুল রহমন ইকন (২৩),  ছাত্রলীগ নেতা মো. মিজানুর রহমান মিজান (৪২), তমরুদ্দি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি মো. আলতাফ হোসেন (২৮), চাটখিল পৌরসভা ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. একরাম উল্লাহ ফরিদ (৪০), খিলপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি নোমান হোসেন (৩৩), যুবলীগ সদস্য মো. আরিফুল ইসলাম (৩৩), মো. নাসির (৩১), চৌমুহনী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড সাবেক যুবলীগ সভাপতি মো. আখতারুজ্জামান (৪৫) ও এখলাশপুর ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেদুর রহমান জনি (২৮)।

মোহাম্মদ ইব্রাহীম  বলেন, অপরাধ দমনে ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারা দেশের মতো নোয়াখালীতে গত ২৪ ঘণ্টায় অপারেশন ডেভিল হান্টে ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়াও গত পাঁচ দিনে ৫৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত থাকবে।