সারা বাংলা

অভয়নগরে ১৯ বাড়িঘরে লুটপাট-আগুন: পাঁচ দিন পর মামলা, আটক ৩

যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে ১৯ বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পাঁচ দিন পর থানায় মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী সুশান্ত বিশ্বাসের স্ত্রী কল্পনা বিশ্বাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে অভয়নগর থানায় মামলা করেছেন। তবে, বিষয়টি জানাজানি হয় বুধবার (২৮ মে)। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে আটক করেছে।

আটককৃতরা হলেন- উপজেলার সরখোলা গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে ইমন হোসেন (৩০), একই গ্রামের মতিয়ার রহমান মোল্যার ছেলে রিফাতুল ইসলাম রাতুল (২৩) ও বুইকরা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে সাজ্জাদ হোসেন (২৭)।

মামলার বাদী কল্পনা বিশ্বাস অভিযোগ করেছেন, ‘‘কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পর অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা ঘরে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মালামাল লুট করে বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘হামলাকারীরা এরপর আমার প্রতিবেশী শংকর বিশ্বাস, মহিতোষ বিশ্বাস, দিলীপ বিশ্বাস, বিষ্ণু বিশ্বাস, বিপ্রজিৎ বিশ্বাস, অজিত বিশ্বাস, বিকাশ বিশ্বাস, প্রতাপ বিশ্বাস, প্রণব বিশ্বাস, বাসুদেব বিশ্বাস, সুকৃতি বিশ্বাস, পরিতোষ বিশ্বাস, বারিন বিশ্বাস, মনিশান্ত বিশ্বাস, পবন বিশ্বাস, অমর বিশ্বাস, সমর বিশ্বাস ও দিনেষ বিশ্বাসের বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট করে আগুন ধরিয়ে দেয়। সব মিলিয়ে ১৯টি বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এতে মোট ৪৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।’’

অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল আলীম বলেন, ‘‘ডহর মশিয়াহাটী গ্রামে ১৯ বাড়িঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় কল্পনা বিশ্বাস বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া, তরিকুল হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ফিরোজ খান, সাগর বিশ্বাস, দিনেশ ও সুমন নামের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’’ 

গত ২২ মে কৃষক দল নেতা তরিকুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার কিছু সময়ের মধ্যেই ডহর মশিয়াহাটী গ্রামের হিন্দুদের ১৯ বাড়িঘরে হামলা চালানো হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।