সারা বাংলা

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে বড়লেখা প্লাবিত, পানিবন্দি লাখ মানুষ

ভারী বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। কোথাও হাঁটু আবার কোনো কোনো স্থান কোমর পর্যন্ত পানির নিচে তলিয়ে গেছে। তিনদিনের বৃষ্টিতে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খালেদ বিন ওয়ালিদ বলেন, “বড়লেখায় কোনো বড় নদী নেই। ওখানে পাহাড়ি ছড়া রয়েছে। পাহাড়ি ঢলে সাদমা ছড়া ও সোনাই নদী দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।” 

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, তিনদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে পাহাড়ি ঢল। জেলার বড়লেখা উপজেলার এক লাখ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। ২০ হাজার বাড়ি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। উপজেলার বেশিরভাগ বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকান খোলেননি।  

বড়লেখা সদর উপজেলার বাসিন্দা জালাল আহমদ বলেন, “কুলাউড়া-চান্দগ্রাম আঞ্চলিক মহাসড়কের বড়লেখা উপজেলার উত্তর চৌমুহনী, পাখিয়ালা চৌমুহনী, বাছিরপুর, হাতলিয়া, দক্ষিণভাগ, রতুলী, কাঠালতলী, পানিধার, টিলাবাজার, দোহালিয়া, পূর্ব-দক্ষিণভাগ, কাঠালতলী উত্তরভাগ পূর্ব গাংকুল গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও, দক্ষিণ গাংকুল, পৌর শহরের হাটবন্দ, বারইগ্রাম, আদিত্যের মহাল, মুছেগুলসহ বিভিন্ন গ্রামের রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। বসতবাড়িতে পানি ঢুকেছে। পৌরসভার বিভিন্ন কলোনিতে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকে বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।”

ফয়ছল আহমদের নামে এক বাসিন্দা বলেন, “হাকালুকি হাওরের পানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। হাওরপাড়ের তালিমপুর, বর্নি ও সুজানগর ইউনিয়নে বন্যা দেখা দিয়েছে।”

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিনা আক্তার বলেন, “উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। উপজেলার সব বিভাগের কর্মকর্তাদের সর্তক অবস্থানে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”