মাদারীপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে রবিবার (১ জুন) দুপুরে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম।
অভিযানকালে হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিট পরিদর্শন, সিটিস্ক্যান মেশিন পর্যবেক্ষণ, বিগত অর্থ বছরের তেলের বিল ভাউচার পর্যালোচনা, খাবারের ক্যান্টিন পরিদর্শন, বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন ও রোগীদের সরকারি সেবা গ্রহণ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা বলেন দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আক্তরুজ্জামান ও উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপু।
সহকারী পরিচালক আক্তরুজ্জামান জানান, আইসিইউ ইউনিট পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ২০২৩ সালে আইসিইউ ইউনিটে সকল প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ইন্সটল করা হয়েছে। পাঁচ জন চিকিৎসক ও ১৪ জন সিনিয়র স্টাফ নার্সকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তবে এখনো আইসিইউ ইউনিট চালু করা হয়নি। অচল অবস্থায় পরে আছে।
তিনি জানান, সিটিস্ক্যান মেশিন পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, সিটিস্ক্যান মেশিনের বেড প্রায় ১ মাস ধরে নষ্ট। এ বিষয়ে মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তবে কবে নাগাদ শুরু করতে পারবে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তিনি আরো জানান, বিগত অর্থ বছরে সদর হাসপাতালের তৎকালীন প্রধান সহকারী কাউছার মিয়া জেনারেটরের তেল বরাদ্দ বাবদ ২৬ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিল/ভাউচার সরবরাহ করতে পারেনি। সমুদয় অর্থ পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ হয়েছে মর্মে টিমের নিকট প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।
সহকারী পরিচালক আক্তরুজ্জামান জানান, খাবারের মান উন্নয়ন, রোগীদের যথাযথ সেবা প্রদানে কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট টিম।
অভিযানকালে উদ্ঘাটিত ও সংগৃহীত তথ্য ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দুদক কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।