সারা বাংলা

নড়াইলে বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতা, চলাচলে দুর্ভোগে

কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নড়াইল শহরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানি উঠেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বাড়িঘরে। রাস্তা তলিয়ে থাকায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পর্যাপ্ত নালা না থাকা এবং বিদ্যমান নালাগুলোর মধ্যে দিয়ে পানি সরতে না পারায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বাসিন্দাদের দাবি, সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে প্রশাসনকে। 

নড়াইল পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে ২৮.৫০ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে গঠিত হয় এই পৌরসভাটি। ১৯৯৯ সালে এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। নড়াইল শহরের জন্য ৫৫ কিলোমিটার ড্রেনেজ ব্যবস্থার মধ্যে আছে মাত্র ৩ কিলোমিটার। যা তৈরি হয় আরো ২০ বছর আগে। পরবর্তীতে নতুন করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মিত হয়নি।

রবিবার (২৯ জুন) বিকেলে নড়াইল পৌর এলাকায় দুই ঘণ্টার মতো বৃষ্টি হয়। সোমবার (৩০ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকেও বৃষ্টি হয়েছে। 

নড়াইল পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা রবিবার বিকেলে ঘুরে দেখা যায়, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নিচু এলাকার বাড়ির উঠানে হাঁটু সমান পানি জমেছে। অনেকের ঘরে মেঝেতে পানি রয়েছে। ফলে দুর্ভোগে রয়েছেন বাসিন্দারা। স্কুল-কলেজে যেতে কষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

পৌরসভার ভওয়াখালী এলাকার আশিকুর রহমান বলেন, “একটু বৃষ্টি হলেই ঘরের মধ্য পানি ওঠে। রাস্তায় পানি জমে যায়। চলাফেরা বিঘ্নিত হয়।” 

নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারদিন শাহরিয়ার খান বলেন, “বৃষ্টি হলেই রুপগঞ্জ মুচির পোল থেকে উত্তর দিকে নেমে আসা রাস্তার প্রেস ক্লাব পর্যন্ত পানিতে ডুবে থাকে। এ কারণে স্কুলে যেতে কষ্ট হয়।”

শহরের রুপগঞ্জ গোহাটখোলার বাসিন্দা মর্জিনা বেগম বলেন, “মুসলধারে বৃষ্টি হলেই রান্নাঘর, টিউবওয়েল ও টয়লেট পানিতে তলিয়ে যায়।” 

একই এলাকার গৃহবধূ সুলতানা বলেন, “বৃষ্টিতে আমাদের মহল্লার সমস্ত বাড়ি পানিতে তলিয়ে যায়। বৃষ্টি বেশি হলেই আমাদের কষ্ট বেড়ে যায়।”

নড়াইল পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক জুলিয়া সুকায়না বলেন, “প্রয়োজনীয় অর্থ পাওয়া সাপেক্ষে ড্রেন নির্মাণ করে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতার সমাধান করা হবে। জরুরি ভিত্তিতে পানি নিষ্কাশনের জন্য পৌরসভা কাজ করছে।”