নীলফামারীর ডোমারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও ভোগডাবুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালুর বাড়িতে চুরি সংঘটিত হয়েছে। উপজেলার চিলাহাটি পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন তার বাড়িতে চুরি হয়।
রবিবার (২৯ জুন) রাতে ঘরের সবাইকে চেতনানাশক কিছু দিয়ে অচেতন করা হয়। এরপর চোরেরা বাড়িতে ঢুকে স্টিলের আলমারি ও ড্রয়ার ভেঙে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে যায়।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ার পর সকাল পর্যন্ত কেউ ঘুম থেকে ওঠেনি। সকাল ৯টার দিকে রেয়াজুল ইসলাম কালুর ছেলে সাজির ঘুম ভাঙলে তিনি দেখতে পান, তার বাবা ও স্ত্রী অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে আশপাশের সবাইকে ডাকলে তারা দেখতে পায় ঘরের ভেতরে তছনছ করা অবস্থায় সব কিছু পড়ে আছে। চোরেরা সিসি ক্যামেরা আগেই ভেঙে ফেলে। মোবাইল ফোন সরিয়ে নেয় এবং পরে বাড়ির আশপাশে ফেলে রেখে যায়।
চেয়ারম্যান রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, ‘‘রাত ১০টার দিকে তুহিন ভাইয়ের সঙ্গে মিটিং করে বাড়ি ফিরি। শরীরটা খারাপ লাগছিল, তাই দ্রুত শুয়ে পড়ি। সকাল ৯টার দিকে আমার ঘুম ভাঙলে দেখি আলমারি-ড্রয়ার খোলা, মোবাইল গায়েব, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় এক কোটি টাকার জিনিস চুরি হয়েছে।’’
খবর পেয়ে সকাল থেকে স্থানীয় নেতাকর্মীরা তার বাড়িতে ছুটে যান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডোমার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নিয়াজ মেহেদী ও ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম।
সহকারী পুলিশ সুপার নিয়াজ মেহেদী বলেন, “প্রাথমিকভাবে এটি চুরির ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের চেতনানাশক কিছু খাইয়ে অচেতন করে চুরি করা হয়েছে। থানায় লিখিত অভিযোগ বা মামলা দায়েরের পর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’’