সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শহরের নিউমার্কেট মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, হামলার ঘটনায় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাদি হয়ে ১৮ জনসহ অজ্ঞাত আরো প্রায় ৩০ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকালে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘‘এ মামলায় একজন চিহ্নিত ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’’
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল কাসেমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মমতাজ আহমেদ বাপী, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহি, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আবুল কালাম, সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমুখ। এ সময় সেখানে অর্ধশত সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে আবুল কাসেম বলেন, ‘‘সাংবাদিকদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা প্রেসক্লাবের একটি গ্রহণযোগ্য ভোট। এ লক্ষ্যে ধারাবাহিক ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলমান রয়েছে। এছাড়া সাধারণ সদস্যদের প্রেসক্লাবে যাতায়াত একটি গঠণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু প্রেসক্লাবের কতিপয় সদস্য গঠণতন্ত্রের ধার না ধেরে একটি মনগড়া কমিটি গঠন করে সাধারণ সদস্যদের প্রেসক্লাবে যাতায়াত অঘোষিতভাবে বন্ধ করেছে।’’
সোমবার পূর্বঘোষিত সাধারণ সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সাধারণ সদস্যরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রেসক্লাবে প্রবেশের আগেই রাস্তায় লাঠি, রড, হাতুড়িসহ দেশী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের ওপর হায়েনার মতো ঝাপিয়ে পড়ে। এতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক এম বেলাল হোসাইন, সাধারণ সদস্য আমিনুর রহমান, ইদ্রিস আলীসহ অন্তত ২৫ জন সাংবাদিক আহত হন।
সামগ্রিক পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের আহ্বানে মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকালে উভয় গ্রুপের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে আগামী ৮ জুলাই জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আবারও একটি সভা আহ্বানের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এদিকে, জেলা প্রশাসন কর্তৃক আগামী ৮ জুলাই নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রতিশ্রুতিতে প্রেসক্লাবের সকল কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।