বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, “নিজের শরীরের রক্ত দিয়েও সাংবাদিকদের ঋণ আমি পরিশোধ করতে পারব না। কারণ, এই সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমেই জেলা পর্যায়ের ছাত্রনেতা থেকে আমি এমপি, মন্ত্রী ও বিএনপির এই পর্যায়ের নেতা হয়েছি। তাই, আমি সারাজীবন সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করে যাব। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কোনো নেতাকর্মী সাংবাদিকদের কর্মকাণ্ডে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে তাদের কলম চালাতে পারবেন।”
শনিবার (৫ জুলাই) নাটোর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। নাটোর প্রেস ক্লাবের চার যুগপূর্তি উৎসব উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
নাটোর প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) জেলা প্রতিনিধি ফারাজী আহম্মদ রফিক বাবনের সভাপতিত্বে এবং সহ-সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি মো. শহীদুল হক সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন—নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, পৌরসভার সাবেক মেয়র কাজী শাহ আলম, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান খান বাবুল চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন, সাইফুল ইসলাম আফতাব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা শেখ ওবায়দুল্লাহ মীম, নাটোর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি নাজমুল হাসান, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি এস এম মনজুর-উল হাসান ও রনেন রায়, এটিএন বাংলার জুলফিকার হায়দার জোসেফ, এনটিভির হালিম খান, সিনিয়র সাংবাদিক নাসিম উদ্দিন নাসিম, বুলবুল আহমেদ ও স্থানীয় দৈনিক জনদেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এ বি এম মোস্তফা খোকন প্রমুখ।
এর আগে প্রেস ক্লাব চত্বরে বেলুন উড়িয়ে অতিথিরা বর্ষপূর্তি উৎসবের সূচনা করেন এবং বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে অতিথিরা ৪৮ পাউন্ড ওজনের কেক কেটে নাটোর প্রেস ক্লাবের ৪৮ বছরপূর্তি উদযাপন করেন।
এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু আরো বলেছেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে নাটোর প্রেস ক্লাব নির্মাণে অর্থসহ জায়গার বন্দোবস্ত করে দেন। আগামীতে নাটোর প্রেস ক্লাবের অবস্থান আরো সুসংহত হবে। আমরা সব সময় গণমাধ্যমকর্মীদের বিপদে-আপদে পাশে থাকতে চাই।