গোপালগঞ্জে জমিজমা বিরোধের জেরে আবু তালিফ মোল্যা (৮) নামে এক শিশুকে বেদম প্রহারের অভিযোগ উঠেছে। ওই শিশুকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার (৬ জুলাই) সকালে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ঘ্যানাশুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিশু তালিফ বাগেরহাটের কচুয়া থানার গজালিয়া গ্রামের মো. সোহাগ মোল্লার ছেলে।
ওই শিশুর বাবা মো. সোহাগ মোল্লা জানান, গত সোমবার (৩০ জুন) বাগেরহাটের কচুয়া থানার গজালিয়া গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে স্ত্রী ও ছেলেকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি জালালাবাদ ইউনিয়নের ঘ্যানাশুর গ্রামে আসেন। গত দুইদিন আগে একই গ্রামের বশির মোল্যার ছোট ছেলের সঙ্গে তার ছেলে তালিফের মারামারি হয়।
রবিবার সকালে নানা হাবিবার খলিফার দোকানে যায় তালিফ। পরে স্থানীয়রা তালিফকে মারাত্মক আহতাবস্থায় মধুমতি নদীর পাড়ে পরে থাকতে দেখে খবর দেন। পরিবারের সদস্যরা শিশু তালিফকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
তিনি ধারণা করছেন, তার শ্বশুর হাবিবার খলিফার সঙ্গে একই গ্রামের বশির মোল্যার জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে বশির মোল্যার ছেলে হাকিম মোল্যা (১৭) তার ছেলেকে বেদম মারধর করে মৃত ভেবে মধুমতি নদীর পাড়ে ফেলে আসতে পারে।
শিশু মা হাফজা বেগম বলেন, “আমার ছেলেকে প্রায় মৃত অবস্থায় হাসপাতালে এনে ভর্তি করি। আমার ছেলেকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে। এখন গাছ থেকে পড়ে গিয়ে আমরা ছেলে আহত হয়েছে বলে প্রতিপক্ষরা প্রচার করছে। আমি এ ঘটনার তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার চাই।”
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল রাজীব বলেন, “সকালে তালিফ নামের এক শিশুকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন করেছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান জানান, এখন পযর্ন্ত থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।