সারা বাংলা

টানা বর্ষণে ত্রিপুরায় রেড অ্যালার্ট, আতঙ্কে কুমিল্লার মানুষ

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে টানা ভারী বর্ষণে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতিতে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের কুমিল্লা অঞ্চলে। হঠাৎ করে গোমতী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় চরাঞ্চলের অন্তত এক লাখ মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। অনেকে ইতোমধ্যে নিজ উদ্যোগে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে শুরু করেছেন।

বুধবার (৯ জুলাই) কুমিল্লা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এখনো গোমতীর পানি বিপৎসীমার ২ দশমিক ৮ মিটার নিচে রয়েছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি বেড়েছে প্রায় ৪ থেকে ৫ মিটার পর্যন্ত। উজান থেকে নেমে আসা ঢলে যে কোনো সময় পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুমিল্লা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খাঁন মো. ওয়ালীউজ্জামান বলেন, “উজানে ত্রিপুরায় প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার কারণে গোমতীর পানি বাড়ছে। সন্ধ্যার দিকেই বোঝা যাবে প্রকৃত অবস্থা।”

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে টিক্কার চর, চানপুর ব্রিজ ও সংরাইশ এলাকার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে, গোমতীর চরাঞ্চলের অনেক জায়গা ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নদীপাড়ঘেঁষা বেশ কয়েকটি পর্যটন কেন্দ্র। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে তারা ঘরবাড়ি রক্ষা করতে পারবেন না।

চরের বাসিন্দা আরিফ হোসেন বলেন, “সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি পানি ঘরের একেবারে কাছে চলে এসেছে। গত বছর আমাদের ঘর ভেসে গিয়েছিল। এবারও সেই আতঙ্কে আছি।”

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানভির আহমেদ বলেন, “পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। কিন্তু যেকোনো পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত রয়েছি। স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”

কুমিল্লা জেলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এই ভারি বর্ষণ আগামী ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।

আবহাওয়াবিদ সৈয়দ আরিফুর রহমান বলেন, “মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তায় সৃষ্ট এই বৃষ্টিপাত আপাতত থামছে না। যার প্রভাব পার্বত্য ও সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সবচেয়ে বেশি পড়ছে।”